কলকাতা: পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে৷ তাঁর দাবি, গণনায় কারচুপি হয়েছে৷ এই কেন্দ্রে চূড়ান্ত ফলাফল স্পষ্ট করে ঘোষণা করা হয়নি। তিনি জানান, মানিকতলা কেন্দ্রে তিনি দেখেছিলেন ৩,৩৬৩ ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। অথচ ফলাফলে দেখানো হয় ২০ হাজার ভোটে হেরেছেন তিনি। কী ভাবে এই ফারাক হল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন চৌবে৷
আরও পড়ুন- নজরে ’২৪! লোকসভায় দলীয় নেতৃত্বে বড় সড় পরিবর্তন আনছেন মমতা
প্রসঙ্গত, গণনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণের আর্জি জানিয়ে গত ৫ মে কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন কল্যাণ চৌবে। এর পর হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি৷ আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘আমি হাইকোর্টে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছি৷ আরও ৮ বিজেপি প্রার্থী পুনর্গণনা চান৷ সোমবার দুটি মামলার শুনানি রয়েছে৷’’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফল ঘোষণার দিনেই কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি৷
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা মানিকতলা থানা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের সমর্থনেই একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী৷ এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন সিটিজেন্স ফোরাম৷ কিন্তু এর পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় শিয়ালদহ আদালতের দ্বারস্থ হন মৃত্যুঞ্জয় পাল নামে এক ব্যক্তি৷ এ বিষয়ে আদালত রিপোর্ট তলব করার পরেই পুলিশের তরফে মামলা দায়ের করা হয়৷
আরও পড়ুন- আরও মহার্ঘ জ্বালানি, ১৯ জেলায় সেঞ্চুরি পাড় পেট্রোলের
অন্যদিকে মিঠুনের অভিযোগ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়েই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে৷ এই মামলা খারিজ করা হোক৷ কিন্তু আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় এবং অফিসাররা ভার্চুয়ালি অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলেও নির্দেশ দেয়৷