কলকাতা: ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই দলের অন্দরে বাড়ছে ‘বেসুরো’ গান৷ এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠক করলেও রাজ্য সভাপতির সঙ্গে আলোনায় বসেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ এবার দিল্লির দরবারে জরুরি তলব দিলীপ ঘোষকে৷ আজ রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্য সভাপতি৷ আগামীকাল সকাল ১১টায় বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের কথা তাঁর৷ ওই বৈঠকে রাজ্য বিজেপি’র সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর৷ পাশাপাশে দলের ‘বেসুরো’ নেতাদের নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হবে, সে বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে৷
আরও পড়ুন- বিধানসভায় গুরু দায়িত্ব পেলেন সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি
রবিবার জরুরি বৈঠক বসছে দিল্লিতে৷ তলব করা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে৷ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দুটি বিষয় এই বৈঠকের মূল আলোচ্য৷ প্রথমত, বিধানসভা ভোটের পর প্রায় ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন দিলীপ ঘোষ৷ সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এই রিপোর্ট নিয়ে এবার সরাসরি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলতে চায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷
পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি’র সাংগঠনিক দিক নিয়েও আলোচনা হবে৷ কারণ সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে বাবুল সুপ্রিয়, একাধিক নেতা ‘বেসুরো’ ৷ সরাসরি শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ৷ আবার তৃণমূল থেকে আসা অনেকেই পুরনো দলে ফিরে যেতে চাইছেন৷ অনেকে আবার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন৷ তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও জলঘোলা হচ্ছে৷ ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে৷ তাতে আখিরে বিজেপি’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে৷ যার ফলে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন বিজেপি’র কর্মী সমর্থকরা৷ পরিস্থিতি শৃঙ্খলা ভঙ্গের পর্যায়ে চলে গিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চাইছে রাজ্য নেতৃত্ব৷ এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে৷ ফলে বেসুরো’-দের ডানা ছাঁটতে সাংগঠনিক রদবদলের পথ প্রশস্ত হতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত৷
আরও পড়ুন- বঙ্গভঙ্গের দাবিদারের সঙ্গে বৈঠক! রোশন-অভিষেক সাক্ষাৎকার নিয়ে নিন্দা দিলীপের
রাজ্যের বেসুরো নেতাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে সে বিষয় আগামীকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তার আগে দল বিরোধী মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, পরীক্ষা করেছিলাম লাগেনি৷ এক গাছের ছাল অন্য গাছে লাগে না৷ বিজেপি’র মতাদর্শ জেনেই তাঁরা এসেছিলেন৷ ব্যক্তিগত স্বার্থ দলের চেয়ে বড় হলে সমস্যা৷ তবে এগুলো সাময়িক৷ ভারতীয় জনতা পার্টি যে ভাবে এগচ্ছিল, সে ভাবেই এগোবে৷