বঙ্গভঙ্গের দাবিদারের সঙ্গে বৈঠক! রোশন-অভিষেক সাক্ষাৎকার নিয়ে নিন্দা দিলীপের

বঙ্গভঙ্গের দাবিদারের সঙ্গে বৈঠক! রোশন-অভিষেক সাক্ষাৎকার নিয়ে নিন্দা দিলীপের

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পর উত্তরবঙ্গ ইস্যু আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ পাহাড়ের তিনটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে লড়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বঙ্গভঙ্গের দাবি তলায় হইহই শুরু হয়ে যায় গোটা বঙ্গ জুড়ে। যদিও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে বাংলা ভাগের পক্ষে তারা নয়। কিন্তু এবার গোর্খা দলের নেতা রোশন গিরির সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সাক্ষাৎকার নিয়ে ব্যাপক নিন্দায় সরব হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন- ‘হাঁফ ছেড়ে বাঁচাতে’ দিলীপদা আনন্দ পেয়েছেন! বিস্ফোরক পোস্ট বাবুলের

দিলীপ দাবি করেছেন, যারা বঙ্গভঙ্গের দাবিদার তাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বৈঠক করছে। ‌ পাহাড় থেকে মুছে গিয়েছে তৃণমূল তাই অরাজগতা সৃষ্টি করতে চাইছে তারা, এমন অভিযোগ করেন দিলীপ। অভিষেকের সঙ্গে রোশন গিরির ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেন,  “বঙ্গভঙ্গ করে পাহাড়কে আলাদা করার মূল দাবিদার বিমল গুরুংয়ের দলের নেতা রোশন গিরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটক। উত্তরবঙ্গের মানুষ তৃণমূলকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। তাই এবার পাহাড়ের অরাজগতা সৃষ্টি করার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সাহায্য নিচ্ছে তৃণমূল।” উল্লেখ্য সম্প্রতি রোশন গিরি এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আরো এক প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক।

যদিও এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পাহাড়ের নেতাদের তরফে জানানো হয়েছে যে পাহাড়ের সমস্যার চিরস্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান প্রসঙ্গে আলোচনা করতেই এই সাক্ষাৎ হয়েছিল। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড় প্রসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যার উল্লেখ ইস্তেহারে ছিল। সেই প্রসঙ্গেই আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিজেপির সাংসদের বঙ্গভঙ্গের দাবি এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিমন্ত্রী হয়ে যাওয়া অবশ্যই বাংলার রাজনৈতিক মহলকে আরো উত্তেজিত করেছে। তবে এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যা দাবি করছেন সেটা কতটা কাজে লাগাতে পারে গেরুয়া শিবির তা ভবিষ্যৎ বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *