উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে অনড় BJP সাংসদ, উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি

উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে অনড় BJP সাংসদ, উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি

কলকাতা:  এবার বঙ্গ ভঙ্গ নিয়ে উত্তাল বাংলার রাজনীতি৷ আলাদা রাজ্য হলে তবেই উন্নতি হবে উত্তরবঙ্গের৷ কেন্দ্রের কাছে এই মর্মে আবেদন জানালেন আলিপুর দুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার৷ 

আরও পড়ুন- গদি বাঁচাতে দুয়ারে ঘুরছেন রাজ্যপাল, ব্যাকডোর দিয়ে ৩৫৬ আনার চক্রান্ত, তীব্র কটাক্ষ কুণালের

উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন জন বার্লার৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে এক একটি বাগান থেকে হিসাব করে দেখেছি হাজার হাজার মানুষকে নিজের পরিবারক ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হয়েছে৷ এটাই কি উন্নয়ন? এর জন্যই আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের দাবি জানিয়েছি৷ দিল্লিকেও বিষয়টি জানিয়েছি৷ রাজ্যকেও বিষয়টি বোঝাব৷’’ 

গুজরাতে সৌরাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্য ভাগ করে নতুন রাজ্য গঠনের দাবি ইতিমধ্যেই উঠেছে৷ বিজেপি আগে সে বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুক৷ পাল্টা দাবি তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দ শেখর রায়ের৷ অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘এই ধরনের মন্তব্য সংকীর্ণ রাজনীতির পরিচয়৷ এটা বাংলার সংকট৷ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গোটা বাংলাকে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ বঙ্গ ভঙ্গের বিরোধিতা করতে হবে৷ বাংলায় শান্তির বাতাবরণকে ধূলিস্মাৎ করার চেষ্টা চলছে৷ ’’

তবে আজ আলিপুরদুয়ার চৌপিথি এলাকায় নিজের সাংসদ কার্যালয়ের উদ্বোধন করার পর বার্লা বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন এলাকা দখল নিচ্ছে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা৷ তাঁরা এদেশে ঢুকে রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড বানাচ্ছে৷ আর স্থানীয়রা সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই এই এলাকার বহু মানুষ ঘরছাড়া৷ বাড়ি ফেরার জন্য ঘুষ দিতে হচ্ছে৷ সে কারণেই এই এলাকাকে সুরক্ষিত করতে কেন্দ্রের সাহায্য প্রয়োজন৷ যা একমাত্র সম্ভব আলিপুরদুয়ার আলাদা রাজ্য কিংবা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হলে৷ 

আরও পড়ুন-দলবদলুদের ঘরওয়াপসি, গঙ্গার জল ছিটিয়ে চলছে BJP কর্মীদের শুদ্ধিকরণ !

যদিও জন বার্লার বক্তব্যের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখল বঙ্গ বিজেপি৷ বাংলা ভাগ নয়, রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক, মন্তব্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের৷ তিনি বলেন, এটা ওঁনার ব্যক্তিগত মতামত, দলের বিবৃতি নয়৷  পাশাপাশি তািনি এও বলেন,  রাজ্যে সাংসদ-বিধায়কদের কোনও সম্মান-সুরক্ষা নেই৷  এখানে বিরোধীদের কাজ করতে দেওয়া হয় না।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *