কলকাতা: ভোটের মুখে ব্যতিক্রমী নজির গড়ে অন্তর্বতী বাজেট পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থতিতে তিনি নিজেই বাজেট পেশ করেন৷ সামনেই ভোট৷ তার আগে তিন মাসের জন্য ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে বিধানসভা ত্যাগ বিজেপি বিধায়কদের! তুমুল হইচই
এদিন বাজেট পাঠের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমগ্র দেশে করোনা যখন মারণ কামড় বসিয়েছিল, তখন বাংলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে আম্পানের মতো অতিপ্রবল ঘূর্ণি ঝড়৷ কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলা ঘুরে দাঁড়িয়েছে৷ বিশ্বমানচিত্রে বাংলাই হয়ে উঠেছে নতুন গন্তব্য৷ শিল্পে-বাণিজ্যে-উৎপাদনে বাংলা নতুন শক্তির উৎস হয়ে উঠেছে৷
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, কল্যাণমূলক কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে তফশিলি জাতি, উপজাতি, আদিবাসী মানুষদের জন্য ১০০টি নতুন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করা হবে৷ এর জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ অলচিকি ভাষার জন্য ৫০০টি নতুন স্কুল ও দেড় হাজার পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ আগামী পাঁচ বছরে অলচিকি ভাষায় পঠন পাঠনের জন্য আরও ৫০০টি নতুন স্কুল গড়ে তোলা হবে৷ এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ প্রস্তাব রাখা হচ্ছে৷
এছাড়াও নেপালি, হিন্দি, উর্দু, কামতাপুরি ভাষার জন্য আগামী পাঁচ বছরে ১০০টি নতুন স্কুল তৈরি করা হবে। নিয়োগ করা হবে ৩০০ পার্শ্ব শিক্ষক৷ আগামী অর্থবর্ষে এর জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ রাখা হচ্ছে৷
চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের বড় অংশ যে ভাষায় কথা বলে সেই ভাষায় পড়াশোনার সুযোগ দিতে চা বাগান এলাকায় আগামী পাঁচ বছরে ১০০টি বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান৷ এই ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য ৩০০ জন পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ আগামী অর্থবর্ষে এর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা৷
আরও পড়ুন- অনলাইনে পঠনপাঠনে পদে পদে বিপদ, সাইবার দুনিয়ার পাতা রয়েছে অদৃশ্য ফাঁদ!
এছাড়াও রাজবংশী ভাষায় ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারি অনুমোদন দেওয়া হবে৷ রাজ্যের ২০০টি বিদ্যালয়ে রাজবংশী ভাষায় পড়াশোনা করানো হয়৷ রাজ্য সরকার এই সকল বিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই বিদ্যালয়গুলিকে আর্থিকভাবেও সাহায্য করা হবে৷ এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷ এছাড়াও মাদ্রাসা স্কুলগুলিকে সরাসরি সাহায্য প্রদান করা হবে৷ এর জন্য রয়েছে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।