কলকাতা: রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ তলব করেছিলেন ডিজিকে৷ বদলে চিঠি লিখে জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পরই সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি৷ তুলোধনা করলেন রাজ্য সরকারের৷
আরও পড়ুন- রাজ্য পুলিশের ডিজি এত ‘ক্যালাস’? ‘পুলিশ-রাজে’র বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা রাজ্যপাল
এদিন রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা খুবই উদ্বেগজনক৷ সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ৷ এ রাজ্যে মহিলাদের কোনও সুরক্ষা নেই৷ নিজের ভূমিকা পালন করতে পারছে না পুলিশ৷ রাজ্যে সর্বোত্র ইলেকট্রনিক নজরদারি বাড়ছে৷ সব কিছুর উপর চলছে এই নজরদারি৷ বৈদ্যুতিন মাধ্যম শক্তিশালী হচ্ছে৷ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দরজায় কড়া নাড়ছে পুলিশ৷ তাঁর কথায়, গণতন্ত্র ও পুলিশ রাজ একসঙ্গে চলতে পারে না৷ তিনি আরও বলেন, ক্ষমতার অলিন্দে হার্মাদদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করুন৷
এদিন রাজ্যপাল বলেন, ‘‘সংবিধানের শপথ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব নিয়েছি৷ রাজ্যপালের ভূমিকা কী হবে, সংবিধানে তা স্পষ্ট বলা আছে৷ যদি কেউ মনে করেন আমি আমার এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছি, তাহলে আমাকে বললেন৷ আমি নিজেকে সংশোধন করে নেব৷ আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন৷’’ সেই সঙ্গে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকেও৷ ধনকড় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শপথ নিয়েছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার সময় কী বলেছিলেন? মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব মনে করাতে চাই৷ রাজ্যপাল আরও বলেন, আম্পান ত্রাণ হোক বা পিপিই কিট, কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না তিনি৷ বিজিডিএস সহ একাধিক বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম, উত্তর মেলেনি৷ তথ্য দেওয়া হয়নি৷ সমস্ত তথ্য চেপে দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- প্রশ্ন উঠলেই তথ্য নেই বলছে কেন্দ্র! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে পাল্টা অধীর, ‘আপনিও তাই’!
তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রেও কোনও নিয়ম মানছে না রাজ্য সরকার৷ রাজ্যপাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে বারণ করেছেন৷ বাইরে কারও সঙ্গে কথা বলতেও নিষেধ করেছেন৷ মুখ্যন্ত্রীর এই ভূমিকা হাস্যকর৷ তাঁর পরামর্শ, ‘‘নিজেকে সংশোধন করে নিন৷’’ তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব রাজ্যপালকে সবকিছু জানানো৷ এটা আমার কথা নয়, সংবিধানের ধারায় এ কথা বলা আছে৷ পাশাপাশি রাজ্য সরকার কেন পিএম কিষাণ যোজনায় মধ্যস্থতাকারী হতে চাইছে? এদিন সেই প্রশ্নও তোলেন ধনকড়৷ এছাড়াও তিনি বলেন, আমি কারও রবার স্ট্যাম্প নই৷ সংবিধানে প্রতিটি পক্ষের সমান অধিকার রয়েছে৷