কলকাতা: ফের রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ রাজ্যে গণতন্ত্র ও পুলিশি-রাজ একসঙ্গে চলতে পারে না বলেও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন রাজ্যপাল৷ একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি৷ ক্ষমতার অলিন্দে হার্মাদদের ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও রাজভবন থেকে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যপাল৷ রাজ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পুলিশিরাজ কায়েম হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি৷ সরাসরি রাজ্য পুলিশের ডিজির ভূমিকা নিয়ে চরম সমালোচনা করেন রাজ্যপাল৷ ডিজিকে আক্রান্তমণ করতে গিয়ে ‘ক্যালাস’ শব্দটিও ব্যবহার করেন রাজ্যপাল৷
আজ রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল৷ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি৷ সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন ধনকর৷ ক্ষমতার অলিন্দে হার্মাদদের ঢোকানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ নিজের ভূমিকা পালন করতে রাজ্যপুলিশ ব্যর্থ বলেও সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ রাজভবনের উপর ইলেক্ট্রনিক নজরদারি চলছে বলেও তুলেছেন গুরুতর অভিযোগ৷ সর্বক্ষেত্রে নজরদারি চলছে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যপালের৷ গণতন্ত্র ও পুলিশিরাজ একসঙ্গে চলতে পারে না বলেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি৷ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দরজায় পুলিশ প্রতিদিন কড়া নাড়ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি৷ ‘রাজ্য পুলিশের ডিডির ঔদ্ধত্য মূলক আচরণ’ করেন বলেও অভিযোগ রাজ্যপালের৷ পুলিশের ঔদ্ধত্য না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না বলেও অভিযোগ রাজ্যপালের৷ ডিজি এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে? প্রশ্ন রাজ্যপালের৷ এখানে ‘ক্যালাস’ শব্দটি ব্যবহার করেন রাজ্যপাল৷
সম্প্রতি জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ-সহ রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কিছুদিন আগে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেন রাজ্যপাল৷ তাঁকে জবাবদিহি করতে বলা হয়৷ সেই চিঠির জবাবও দেন ডিজি বীরেন্দ্র৷ ‘দু’লাইনে’র জবাব পেয়ে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল৷ তিনি অভিযোগ করেন, ডিজি রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোটেই উদ্যোগী নন৷ উটপাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে আছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল৷ এবার জবাবে নবান্ন থেকে ৯ পাতার চিঠি পাঠানো হয় রাজভবনে৷ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এবার তারই পাল্টা হিসেবে সরাসরি পুলিশ প্রশাসনের দিকেই এবার আঙুল তুললেন রাজ্যপাল৷