কলকাতা: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে তোলপাড় রাজ্য৷ সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ফর্ম মিলবে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে৷ এর জন্য একটা টাকাও দিতে হবে না৷ দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলে হয়েছে৷ অথচ এর পরেও ডুয়ার্সে জেরক্সের দোকানে দেদার বিকোচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম৷
আরও পড়ুন- দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রোলাইনে ২০০ মিটার ধস, চলছে মেরামতি
গয়েরকাটায় সাকোয়াঝোরার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরের সামনে রয়েছে এই জেরক্সের দোকান৷ সেখান থেকেই বিক্রি করা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম৷ এক একটি ফর্মের জন্য ৫ টাকা, ১০ টাকা এমনকী ১৫ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে৷ বেআইনি ভাবে ফর্ম বিক্রি হলেও কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না তৃণমূল চালিত বোর্ড৷ পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, ফটোকপির দোকানে যাঁরা ফর্ম বিক্রি করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
এদিকে ফর্ম বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা ডুয়ার্সে৷ মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্মের জন্য কোনও রকম অর্থ দিতে হবে না৷ ফর্ম মিলবে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্প থেকে৷ ফর্মে থাকবে ইউনিক নম্বর৷ এখানে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না৷ অথচ জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে ফর্ম বিক্রি হচ্ছে৷ বাসিন্দারা জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা জেরক্সের দোকান থেকে টাকা দিয়ে ফর্ম কিনে ফেলেছেন৷ কিন্তু নবান্ন থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, সেই ফর্ম কার্যকরী হবে না৷ ফলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ পথে নেমে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করছে বিরোধী শিবির৷
আরও পড়ুন- নিউটাউন পর্নকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য! কী ভাবে ধার্য হত পারিশ্রমিক? কী ভাবে হত শ্যুটিং?
সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য বিরাজ বলেন, গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূলের নাকের ডগায় ফর্ম বিক্রি হচ্ছে৷ কালো বাজারি হচ্ছে৷ অথচ কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না৷ যাঁরা ফর্ম কিনে ফেলেছেন তাঁদের সঙ্গে দলের তরফে যোগাযোগ করা হচ্ছে৷ তাঁদের আশ্বস্তও করা হচ্ছে৷ অন্যদিকে, পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ ওঁরাও বলেন, কেউ যাতে অনলাইনে বা অন্য কোনও জায়গা থেকে ফর্ম না নেয় সে কথা সকলকে বোঝানো হচ্ছে৷