কলকাতা: নিউটাউন পর্ন চক্রে পুলিশি তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ পর্ন চক্রের এই শিকড় বিস্তৃত রয়েছে বহুদূর পর্যন্ত৷ পর্ন শ্যুটে কী ভাবে ধার্য হত পারিশ্রমিক? কোথায় হত শ্যুটিং? সেই সমস্ত বিষয় জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷
আরও পড়ুন- মেদিনীপুরে আরও একটি কমিটি থেকে কাটা গেল শুভেন্দুর নাম, দায়িত্ব নিলেন তৃণমূল বিধায়ক
জানা গিয়েছে, পর্নফিল্মের শ্যুটিং হত বালিগঞ্জের স্টুডিওতে৷ লজ ও ভাড়া বাড়িতে চলত নীল ছবির শ্যুটিং৷ প্রথমে শাড়ি ও চুড়িদার পরিয়ে শ্যুট করা হত৷ পরে কনফিডেন্স বাড়িয়ে শুরু হত ‘বোল্ড সিন’৷ শ্যুটের পর ক্যামেরার চিপ নিয়ে নিতেন পরিচালক৷ এর পর গোপনে একাধিক পর্ণসাইটে তা আপলোড করা হত৷ এর জন্য ভুয়ো আইপি ব্যবহার করত পর্ন চক্রীরা৷
আর পর্নশ্যুটে পারিশ্রমিক ধার্য করা হত মেয়েদের শরীর দেখে৷ ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিত মিলত এই কাজের জন্য৷ গতকাল এই চক্রে আরও এক ফটোগ্রাফারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তাঁকে জেরা করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি জেরা করা হচ্ছে নন্দিতা দত্ত ও মৈনিক ঘোষকেও৷ এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই সকল চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে উঠে এসেছে৷ জানা গিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছেন৷ তাঁদের নামও জানতে পেরেছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন- ত্রিপুরা এবার ‘খেলতে’ নামছেন চার সাংসদ, সঙ্গে মন্ত্রী ব্রাত্য
পর্নকাণ্ডের অন্যতম পাণ্ডা মৈনাকের বক্তব্য, ‘‘আগে পর্নগ্রাফির সংজ্ঞা ঠিক করা হোক৷ তার পর এই বিষয়ে কথা বলব৷’’ নন্দিনী বলেন, ‘‘আমারা ন্যুড শ্যুটিং করেছিলাম৷ পর্নগ্রাফি নয়৷ আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এত ন্যুড শ্যুট করা হচ্ছে৷ তাহলে সেগুলোও পর্নোগ্রাফি বলে চিহ্নিত করা হোক৷ তাঁদেরও গ্রেফতার করা হোক৷ আমাদের বিরুদ্ধে যে ভুল অভিযোগ আনা হয়েছে, তার জন্য আমরা আইনি পদক্ষেপ করছি৷ ’’