কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এর পর থেকেই মেদিনীপুরের একাধিক কমিটি থেকে তাঁকে সরানোর উদ্যোগ নেয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃতীয়বার জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রক্রিয়া আরও জোরদার হয়েছে৷ সমবায় ব্যাঙ্কের সভাপতি পদ থেকে শুভেন্দুকে হঠাতে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার৷ মামলা গড়িয়েছে আদালতের দোরগোড়ায়৷ এই পরিস্থিতিতে মহিষাদলের প্রজ্ঞানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে সভাপতি হলেন তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী৷
আরও পড়ুন – ত্রিপুরা এবার ‘খেলতে’ নামছেন চার সাংসদ, সঙ্গে মন্ত্রী ব্রাত্য
উল্লেখ্য, এর আগে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকে শুভেন্দুকে সরানো হয়েছে৷ কিন্তু প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির সভাপতি পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়ান তিনি৷ সময়ের অভাবে দায়িত্ব সামলাতে পারছেন না বলে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন৷ ব্যস্ততার কারণেই একের পর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি৷ সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত৷ শুভেন্দু জানান, মেয়াদ না ফুরনোয় সরে যেতে পারছিলেন না৷ এবার মেয়াদ শেষ হতেই সরে দাঁড়ানোর কথা জানালেন বিজেপি বিধায়ক৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে জখম হওয়া পায়ের স্ক্যান করালেন মুখ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার বসেছিল প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিরক্ষা কমিটির বৈঠক৷ এই বৈঠকে ৪১ জনের মধ্যে উপস্থিত হন ২৬ জন৷ উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিতেই পরবর্তী সভাপতি হিসাবে বেছে নেওয়া হয় তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীকে৷ দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতি ভবনের সঙ্গে মহিষাদলের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে৷ স্বামী প্রজ্ঞানন্দ, সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারা, সহ একাধিক বীর বিপ্লবীদের স্মৃতিবিজড়িত প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার হাতে সঁপা হয়েছে৷ সে দায়িত্ব পালন করব৷’’