বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের সংঘাতেই বিপর্যয়, শোনা হয়নি পুরসভার কথা, আহিরীটোলা নিয়ে ফিরহাদ

বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের সংঘাতেই বিপর্যয়, শোনা হয়নি পুরসভার কথা, আহিরীটোলা নিয়ে ফিরহাদ

কলকাতা: টানা বৃষ্টির জেরে আদ ভোর চারটে নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ৯ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটের বিপর্যস্ত দোতলা বাড়ি৷ আটকে পড়েন এক শিশু সহ একই পরিবারের সাত জন৷ প্রথমে ২বছরের শিশু কন্যা ও তাঁর দিদিমাকে উদ্ধার করতে বেগ পেতে হলেও, পরে সকলকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি৷ হাসপাতালে মৃত্য হয়েছে শিশুটির৷  এদিকে সকালেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷

আরও পড়ুন- কোমর সমান জল ঠেলেও পোলিও খাওয়াতে ছুটছেন আশা’র দিদিরা, ৭৫টি বাড়ি গেলে মিলবে ৭৫ টাকা!

ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ বলেন, মোট ১৭ জনকে এই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ আহতরা সকলেই সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন৷ সকলেই অচৈতন্য৷ তিনি জানান, সারা কলকাতায় এই ধরনের ১০০টি অতি বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে৷ যে গুলি যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে৷ কিন্তু মালিক আর ভাড়াটের গন্ডোগোলে বিপত্তি ঘটছে৷ পুরসভা নোটিশ দিলে তা ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে৷ ভাড়াটেরা পয়সা দিতে চায় না৷ মালিকরাও মেরামতির আগ্রহ ছেড়ে দিয়েছে৷ তিনি বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনও আইনই নেই যাতে জোড় করে বাড়ি ফাঁকা করা যায়৷ কোনও কাউন্সিলার বলতে গেলে তাঁরা ভাবে প্রোমোটারের সঙ্গে যোগসাজশ করে বলতে এসেছে৷ যার জন্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে৷ আদালত যদি এই ধরনের বাড়ি খালি করে অন্যত্র দেওয়ার নির্দেশ দিলে বিপদ এড়ানো সম্ভব৷

ফিরহাদ আরও বলেন, কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই পুরনো ভাড়াটেদের নাম নথিভুক্ত করণের ব্যবস্থা করেছে৷ অর্থাৎ অ্যাসেসমেন্ট বুকে রেকর্ড তোলা হচ্ছে৷ ভাড়াটের এনওসি না পাওয়া পর্যন্ত মালিকের প্ল্যানই পাশ হবে না৷ এছাড়াও ১৪২ ধারায় একটি আইন পাশ করা হয়েছে৷ কিন্তু এর পরেও কোনও জায়গাতেই বিশেষ করে উত্তর কলকাতায় এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে না বলেই জানান তিনি৷ তাঁর কথায়, বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটের মধ্যে ইগো ফাইট চলছে৷ এই ধরনের পুরনো বাড়িতে প্রাণনাশের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে৷ তাই এই বিষয়ে যেন আদালত সাহায্য করে৷ হাইকোর্ট চাইলে তালিকা প্রস্তুত রয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি, আটকে একরত্তি

ফিরহাদ আরও বলেন, এই বাড়িটা অবিলম্বে ভেঙে দেওয়া হবে৷ এই ভাবে আর রাখা হবে না৷ নতুন করে নির্মাণ হওয়ার পর ভাড়াটে যতটা জায়গা নিয়ে থাকত ততটা জায়গা দেওয়া হবে৷ চাইলে এখন তাঁদের ত্রিপল দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে৷ তিনি জানান,  কলকাতায় মোট ৩ হাজার বিপজ্জনকর বাড়ি রয়েছে৷ এর মধ্যে অতি বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে ১০০টি৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =