কলকাতা: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়েছে শিশুদের জ্বর। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় অনেক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে তাই উদ্বেগ আরো বাড়ছে। যদিও রাজ্য সরকার দাবি করেছে যে, কী কারণে জ্বর হচ্ছে তা জানতে পারা গেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলে ব্যাপক চিন্তা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যকে। তবে তাঁকে পাল্টা একহাত নিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যাঙ্ক দিচ্ছে না? বেসরকারি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত রাজ্য
শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যু প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল বলেছেন, তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে চিন্তিত এবং এর আগে অনেকবার এই ব্যাপারে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বারবার বলেছেন যে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় নজর দেওয়া দরকার কিন্তু সেই অনুযায়ী কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন যে রাজ্য এবার এই বিষয়ে নজর দেবে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত হবে। যদিও রাজ্যপালের এই পরামর্শের পাল্টা দিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, রাজ্যপালের উচিত এইসব উপদেশ উত্তরপ্রদেশে গিয়ে দেওয়া। সেখানে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মৃত্যুর পর দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ওখানে গিয়ে সব পরামর্শ দিলেই কাজে দেবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে শিশুমৃত্যু প্রসঙ্গেও রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত লেগে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে গতকালই রাজ্য সরকারকে এক হাত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন যে এখন রাজ্য শুধুমাত্র নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তাই শিশু মৃত্যুর দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে না। সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন তিনি যাতে তারা এই বিষয়ে আলোকপাত করতে পারে।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে মমতার সমর্থনে প্রচারে নেমে চায়ের আসরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, গতকাল রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের অজানা জ্বরের ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। এই জ্বরের নেপথ্যে রয়েছে আরএস ভাইরাস। এখন গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে। ইতিমধ্যে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কুড়িটি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে অজানা জ্বরের জন্য যে কজন শিশু মারা গেছে তাদের অন্য রোগ ছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। এই বিষয়ে তদন্ত হবে বলেও তিনি জানান।