প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র পিছু কত বাহিনী? কী ভাবছে কমিশন

প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র পিছু কত বাহিনী? কী ভাবছে কমিশন

af9c638b0fe97aac9cd01e8c28078a71

কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে ব্যাপক শোরগোল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির হয়ে কাজ করছে তারা এমন অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সব থেকে বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল শীতলকুচি গুলি কাণ্ড নিয়ে। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। এবার আবার রাজ্যে নির্বাচন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জে বিধানসভা নির্বাচন। এবারেও তিন কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে থাকতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কত বাহিনী থাকবে তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন- নির্বাচন ঘোষণা হতেই নোটিশ! অভিষেক তলবে ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা

গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে গিয়েছিল বিজেপি প্রতিনিধি দল। সেখানে আসন্ন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন জানায় তারা। কার্যত সেই আবেদন মেনেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্র পিছু ৮ থেকে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা ভাবা হয়েছে। সূত্রের খবর এমনটাই। মনে করা হচ্ছে এর মধ্যে সবথেকে বেশি বাহিনী থাকবে ভবানীপুরে কারণ সেখানে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেছিলেন যে এই উপনির্বাচন বা দুই কেন্দ্রে নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে না। কিন্তু এখন সূত্রের খবর যে ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১০০ শতাংশ শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ১০০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- ‘দিল্লিতে কাকে চুমু খেতে হবে?’ ‘ভগবানের জ্যেষ্ঠ পুত্র’কে হুঁশিয়ারি মমতার! 

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে তিনি ‘জিতেও’ হেরে যান। সেই ফলাফল নিয়ে বিতর্ক এখনও বর্তমান। এমনকি নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে জটিলতা আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। এবার বিধায়ক হতেই ভবানীপুরে নির্বাচন দাঁড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কেন্দ্রের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তিনি খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়াতে পারেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *