কলকাতা: ফের থমকে গিয়েছে নিয়োগ৷ এবার উচ্চ প্রাথমিকে বাড়ল অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ। উচ্চপ্রাথমিক নিয়ে সরব হলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘এসএসসি নিয়ে অনেক কাণ্ড হচ্ছে। এসএসসি’র কমিশনারকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে চালাকি করছে৷ সরকার যে দুর্নীতি করছে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে৷’’
আরও পড়ুন- ৭ দিনের মধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ! উচ্চ প্রাথমিক মামলায় হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, উচ্চপ্রাথমিকে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে প্রার্থীদের কোনও নম্বর উল্লেখ করা হয়নি৷ অথচ হাইকোর্ট এর আগে নম্বর উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছিল৷ নম্বর প্রকাশিত হয়নি বলেই ফের স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে৷ এদিন তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ বলেন, দুর্নীতির জন্যই চালাকি করার চেষ্টা হয়েছে৷ হাজার হাজার লোকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে৷ যাঁরা টাকা দিয়েছেন সকলকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়৷ কারণ মাত্র ১৪ হাজার লোক নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু টাকা দিয়েছেন দ্বিগুনেরও বেশি লোক৷ চাকরি না পেয়ে অনেক প্রার্থী আত্মহত্যাও করেছিলেন৷ তিনি আরও বলেন, এক জন বয়স্ক ব্যক্তি এর জন্য আত্মহত্যা করেছেন৷ কারণ, স্থানীয় নেতাকে চাকরির জন্য তিনি টাকা দিয়েছিলেন৷ সেই টাকা আর ফেরত পাননি৷ এই দুর্নীতি বন্ধ করার দিন এসে গিয়েছে৷ যাঁরা টাকা নিয়েছেন, সেই নেতা, বিধায়কদের ঘেরাও করা উচিত৷ জনসমক্ষে তাঁদের এনে টাকা উসুল করা দরকার৷ কারণ বারবার প্রতারণা সহ্য করা সম্ভব নয়৷
আরও পড়ুন-দল বদলের পর বিধানসভায় প্রথম মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ, প্রাপ্ত নম্বর সহ তথ্য দিয়ে প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে৷ যাঁদের আবেদন খারিজ তাঁদের নম্বর দিয়ে খারিজের কারণ দেখাতে হবে৷ কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে কি নম্বর প্রকাশ করা সম্ভব? জবাবে দিলীপবাবু বলেন, সরকার চাইলে সবই সম্ভব৷ তাদের কাছেই সমস্ত তথ্য আছে৷