কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। ৭ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর সহ তথ্য দিয়ে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যাদের আবেদন খারিজ তাদের নম্বর খারিজের কারণ দেখাতে হবে। ৭ দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার পর প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ, উচ্চ প্রাথমিক মামলায় স্বচ্ছতা রেখে নতুন করে সাত দিনের মধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এই মামলায় আজ এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ হবে। কিন্তু ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করার পরেই নতুন করে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে কারণ ইতিমধ্যেই বেনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই আজ সরাসরি এসএসসি চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ এই মামলার শুনানি ছিল কিন্তু বোর্ডের তরফে কেউ হাজির ছিলেন না। এই প্রেক্ষিতেই দুপুর দুটোর মধ্যে চেয়ারম্যানকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন, অভিযোগকারীদের মূল অভিযোগ ছিল যে তারা জানতে পারছেন না যে কারা ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পাচ্ছে বা কাদের ইন্টারভিউ তালিকায় রাখা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে স্বজনপোষণের একটা সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই আজ কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে যাদের ইন্টারভিউ হচ্ছে তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, এবং তার ভিত্তিতেই আগামী দিনে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে।
আরও পড়ুন- Fake Vaccination: সরকারের থেকে একাধিক উত্তর মেলেনি, সময় দিল হাইকোর্ট
২০১৬ সাল থেকে চলা আপার প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ তালিকায় অসংগতির অভিযোগে গতবছর হাইকোর্টে মামলা করেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। তারপর থেকে একাধিকবার শহরের তথা রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এই বিষয়ে। হালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষক নিয়োগ অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছিল, কারণ কলকাতায় ব্যাপক হারে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। যদিও এখন অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁরা যোগ্য নন। উল্লেখ্য, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর আগেই প্রাথমিকে ১০ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হবে এবং আপার প্রাইমারিতে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। যার অর্থ পুজোর মধ্যেই সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী দুর্গা পুজোর পরে আরও ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।