কলকাতা: কসবা কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল তুঙ্গে বাংলায়। এই আবহে আজ আবার শুরু ভ্যাকসিন জালিয়াতির মামলার শুনানি। এদিন আদালতের বিচারপতি এই ঘটনা প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেন, ভ্যাকসিন নিয়ে জালিয়াতি হচ্ছে। মানুষের শরীরের কী ইনজেকশন দেওয়া হল, তারা আজও জানতেই পারলেন না। সরকারি মোহর লাগানো স্টিকার লাগানো হয়েছিল। মানুষ জানাবেন কী ভাবে? করোনা আতিমারির মধ্যে মানুষের মধ্যে হাহাকার হচ্ছে ভ্যাকসিন নিয়ে। সেই জীবনদান ভ্যাকসিন নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ ছিনিমিনি খেলছেন। এক কোটি ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তিনি স্তম্ভিত, বক্তব্য বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ যোগ’? গ্রেফতার দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী
এদিকে, প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, অপরাধ বাড়ছে রাজ্যে, বহু গাড়িতে নীল বাতি, লাল বাতি জ্বালিয়ে অপরাধ সংগঠিত করছে একদল। তাদের রাজ্য সরকার কি চিহ্নিত করতে পেরেছে? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। অন্যদিকে আবার, তিনি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান, যত দ্রুত সম্ভব নীল বতি ও লাল বাতি গাড়ি নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবছে? মোটর ভিকেলস আইন কী আছে। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলান মানা হচ্ছে? এর পাশাপাশি কসবা ভ্যাকসিন জালিয়াতির কাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ জুলাই। এর আগের শুনানিতেও নীল-লাল বাতি গাড়ি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল যে, নীল বাতি, লাল বাতি জ্বালানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে আইন রয়েছে রাজ্যে তা মানা হচ্ছে না কেন।