‘উত্তরপ্রদেশ গিয়ে বলুন’! ফিরহাদের মন্তব্যে চটেছেন দিলীপ, বললেন ‘ননসেন্স’

‘উত্তরপ্রদেশ গিয়ে বলুন’! ফিরহাদের মন্তব্যে চটেছেন দিলীপ, বললেন ‘ননসেন্স’

de0b3f74061ba666755b2623a6b79233

কলকাতা: শিশুদের জ্বর এবং মৃত্যু প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যদিও তাঁর পালটা দিয়ে তাঁকে একহাত নেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্তব্য করেছিলেন, রাজ্যপালের উচিত এইসব উপদেশ উত্তরপ্রদেশে গিয়ে দেওয়া। এবার এই নিয়ে মুখ খুলে ফিরহাদ হাকিমকে তোপ দেগে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ফিরহাদ সম্পূর্ণ ‘ননসেন্স’ কথা বার্তা বলছেন। এই ধরণের মন্তব্য করা দায়িত্বজ্ঞানহীন। 

আরও পড়ুন- ভবানীপুরে মমতার সমর্থনে প্রচারে নেমে চায়ের আসরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়

শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যু প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল বলেছিলেন, তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে চিন্তিত এবং এর আগে অনেকবার এই ব্যাপারে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বারবার বলেছেন যে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় নজর দেওয়া দরকার কিন্তু সেই অনুযায়ী কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন যে রাজ্য এবার এই বিষয়ে নজর দেবে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত হবে। যদিও রাজ্যপালের এই পরামর্শের পাল্টা দিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, রাজ্যপালের উচিত এইসব উপদেশ উত্তরপ্রদেশে গিয়ে দেওয়া। সেখানে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মৃত্যুর পর দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ওখানে গিয়ে সব পরামর্শ দিলেই কাজে দেবে। এবার এই ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ জানালেন, ফিরহাদ হাকিম আদতে ননসেন্সের মতো কথা বলছেন। কেউ তো বলেনি যে বাচ্চাদের মারা হচ্ছে! সবাই চায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসুক। সেজন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য একস সঙ্গে কাজ করলে ক্ষতি কী, প্রশ্ন তোলেন তিনি। 

আরও পড়ুন-  স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যাঙ্ক দিচ্ছে না? বেসরকারি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত রাজ্য

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়েছে শিশুদের জ্বর। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় অনেক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে তাই উদ্বেগ আরো বাড়ছে। যদিও রাজ্য সরকার দাবি করেছে যে, কী কারণে জ্বর হচ্ছে তা জানতে পারা গেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *