কলকাতা: করোনা নিয়ে তো চিন্তা আছেই। এরই মাঝে মশা বাহিত রোগ, ডেঙ্গি ভয় বাড়িয়ে চলেছে রাজ্যবাসীর। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রায় ৯০০। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। তাই পরিস্থিতি যে খুব একটা ভাল নয় তা একদমই পরিষ্কার। ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। কিন্তু তা আদতে কতটা কাজে লাগছে সেটা বলা মুশকিল।
আরও পড়ুন- ‘এমন দুর্নীতি দেশে হয়নি’, লালু, সুখরামকেও ছাপিয়ে গিয়েছে, পার্থ-কাণ্ড বিস্ফোরক সৌগত
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের মধ্যে বাঁকুড়া জেলার অবস্থা সবথেকে খারাপ কারণ এই জেলাতেই সবথেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গিয়েছে। ২০০-র ওপর মানুষ ডেঙ্গি সংক্রামিত এই জেলায়। এছাড়াও দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের ছ’টি জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। কলকাতাও যে খুব একটা সুখকর জায়গায় আছে এমনটা নয়। শহরেও দিনদিন বাড়ছে মশা বাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মত, চলতি বছর খামখেয়ালি বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গির প্রকোপ আরও অনেক বেশি বেড়েছে। যদিও ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রুখতে বদ্ধপরিকর স্বাস্থ্য দফতর।
কিছু সময় আগেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের জেলার বাইরে যাওয়া নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ, তারা কেউ যদি বাইরে যেতে চান এই সময়ে তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিতে হবে। সেই অনুমতি ছাড়া চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মসূত্রে থাকা শহর ছাড়তে পারবেন না। এছাড়াও নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। অনেকেই জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল কিনছেন। তারই নিরিখে কেউ প্যারাসিটামল কিনতে এলেই সে সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেউ দোকানে জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল কিনতে এলে সেই ক্রেতার নাম, ঠিকানা নিয়ে রাখতে হবে।