কলকাতা: শিয়ালদা ডিভিশনের যাত্রী অথচ বিধাননগর রোডের নাম শোনেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ পূর্ব রেলের শিয়ালদা শাখায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল বিধাননগর রোড। শিয়ালদা থেকে বনগাঁ, হাসনাবাদ কিংবা কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর যাওয়ার পথে শিয়ালদার পরেই রয়েছে এই স্টেশন৷ শিয়ালদা থেকে বিধাননগরের দূরত্ব ৪ কিলোমিটার৷ এটি শিয়ালদা ডিভিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম স্টেশন। খাতায় কলমে এই স্টেশনের নাম বিধাননগর রোড হলেও যাত্রীদের মুখে এটি উল্টোডাঙা স্টেশন নামেই অধিক পরিচিত৷ এই নামটি কিন্তু হালফিলের নয়৷ ইতিহাস বলছে, ১৮৬২ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে এখানে গড়ে তুলেছিল ‘উল্টোডাঙা হল্ট’ নামে একটি স্টেশন৷ নামটি তবে থেকেই প্রচলিত৷
আরও পড়ুন- দুষ্কৃতী হামলায় রক্তাক্ত আনিস খানের ভাই, ফের প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে
দেশ ভাগের আনেক আগে তখনকার ‘উল্টোডাঙা হল্ট’ বা আজকের বিধাননগর রোড ছিল কলকাতা – কুষ্টিয়া রেলপথের অংশ৷ অর্থাৎ এই রেল স্টেশনের উপর দিয়েই কলকাতা থেকে সোজা পৌঁছনো যেত বাংলাদেশের কুষ্টিয়াতে৷ ১৯৭২ সালে এই কুষ্টিয়া বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুকাল পরে ‘উল্টোডাঙা হল্ট’-এর নাম পাল্টে দেওয়া হয়৷ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের নামে নাম দেওয়া হয় বিধাননগর রোড৷ কিন্তু জানেন কেন এই স্টেশন আজ এত ব্যস্ত?
আসলে এ রাজ্যে অধিকাংশ IT কোম্পানিগুলিই সল্টলেকে অবস্থিত। সল্টলেকে কর্মরত হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই বিধাননগর স্টেশন দিয়েই যাতায়াত করেন। ফলে বিধাননগর রোড যে শিয়ালদা শাখার অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তবে শিয়ালদা-সল্টলেক মেট্রো চালু হওয়ার পর বিধাননগর স্টেশনে যাত্রী চাপ কিছুটা কমেছে।
তবে এই স্টেশনের নাম বিধাননগর হলেও আজও অক্ষুণ্ন রয়েছে উল্টোডাঙা নাম৷ বনগাঁ, রানাঘাট, গেদে, ডানকুনি, হাসনাবাদ যাওয়ার ট্রেন এই স্টেশন থেকেই পাওয়া যায়। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি বেশ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেনও এখানে থামে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>