Aajbikel

দুষ্কৃতী হামলায় রক্তাক্ত আনিস খানের ভাই, ফের প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে

 | 
আনিস

নিজস্ব প্রতিনিধি: আনিস খান বিতর্ক কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না রাজ্যকে। হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা  আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। আর সেই ঘটনা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার আক্রান্ত হলেন আনিস খানের খুড়তুতো ভাই সলমন খান। শুক্রবার রাতে আমতার সারদা গ্রামে নিজের বাড়ির সামনেই আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ভোজালি দিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি উলুবেড়িয়া মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগের তির উঠেছে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়ির কাছাকাছি থাকেন  সলমন। শুক্রবার রাতে বাড়ির সামনেই ভোজালি দিয়ে দুষ্কৃতীরা সলমনকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর সলমনের স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়া সলমনকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সলমনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন- ধনী বন্ধুকে বিরিয়ানি-মদ খাইয়ে গলা কেটে খুন! বোলপুর ছাত্রহত্যা-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

সলমনের পরিবারের দাবি, এর আগেও একাধিকবার সলমনের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। কিন্তু পুলিশের কাছে জানালেও তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সলমনের বাড়ির লোকজন। উল্লেখ্য নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়ির সামনে পুলিশ নিয়মিত টহলদারি দেয়। তা সত্ত্বেও শুক্রবার রাতে কীভাবে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ ঘটনার পর অভিযোগ পেয়েও পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পর আনিস খানের বাবা ফের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। 

যদিও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মানতে চাননি। উল্টে তিনি বলছেন আনিসের বাবা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে  বিরোধীদের মদতে এমন অভিযোগ করছেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন পুলিশ ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করবে। কিন্তু মন্ত্রী যাই বলুন না কেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। যেভাবে আনিসের মৃত্যু হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। পরবর্তীকালে অশান্ত হয়ে ওঠে আমতা। বিরোধী দলগুলি লাগাতার বিক্ষোভ দেখায় সেখানে। এরপর আনিসের বাড়ির সামনে পাকাপাকি ভাবে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়। তাই প্রশ্ন পুলিশি নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আনিসের ভাইয়ের উপরে মারাত্মক হামলার ঘটনা ঘটল? সদ্য রাজ্যবাসী বাগুইআটি থানার পুলিশের নির্লজ্জ গাফিলতি দেখেছে। যে কারণে অকালে মৃত্যু হয়েছে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। মুখ্যমন্ত্রী তারপরই পুলিশকে তৎপরতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এগুলো কি শুধু  খাতায়-কলমেই থেকে যাচ্ছে? এ প্রশ্ন অবধারিত ভাবে উঠছে সলমনের উপর হামলার ঘটনার পর। সকলের প্রশ্ন, এই ঘটনায় অপরাধীরা কবে ধরা পড়বে? এই ঘটনার সঙ্গে আনিস খানের মৃত্যুর কি কোনও যোগ রয়েছে? কাদের ইশারায় দুষ্কৃতীরা সরিয়ে দিতে চাইছে আনিস খানের ভাইকে? এই সমস্ত প্রশ্ন তুলছেন সবাই। তাই পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে কতটা তৎপরতা দেখায় এখন সেদিকেই নজর থাকবে সবার।

Around The Web

Trending News

You May like