কলকাতা: কয়লা কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে সশরীরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁকে তলব করা হয়েছে আদালতে। এর আগে ইডি রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করেছিল কয়লা কাণ্ডের প্রেক্ষিতেই কিন্তু তিনি যেতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন রুজিরা। কিন্তু এখন দিল্লির আদালত ইডির আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- শুধু ভবানীপুরের দিন ঘোষণা! কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘সন্দেহ’ দিলীপের
কয়লাকাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে নোটিশ দেয় ইডি। দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতর তাঁদের সম্মুখীন হন অভিষেক এবং তদন্তে সাহায্য করেন। তবে অভিষেক দিল্লি গেলেও তিনি ফিরে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার তাঁকে তলব করা হয়! কিন্তু সেবার তিনি যাননি। এই ইস্যুতেই ইডির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন অভিষেক এবং রুজিরা। তাঁদের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তাঁরা। অভিষেক এবং রুজিরার দাবি ছিল, একটি মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে তাঁদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাই ইডির তলবের উপর স্থগিতাদেশ চাইছেন তাঁরা। এদিকে বাংলার ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার তদন্তে এইভাবে বারবার দিল্লি ডাকা নিয়েও সরব হয়েছেন দুজনে। তাঁদের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে যে, কোনও আদালতের নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে দিল্লিতে তদন্ত প্রক্রিয়া সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে ইডি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই এটি করা হচ্ছে। কিন্তু রুজিরাকে সেই দিল্লিতেই যেতে হবে, এমনই নির্দেশ দেওয়া হল।
আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা
জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে অভিষেক বিজেপিকে চরমভাবে আক্রমণ করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, যাদের হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গেছে তাদের কিছু করা হচ্ছে না কারণ তারা নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। এই কারণে হয়ত তাদের সাত খুন মাফ। যদিও অভিষেক এবং রুজিরার আবেদন প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এখানে ইডি আধিকারিকরা এলে তৃণমূল কর্মীরা এসে ঢিল মারবে!