কলকাতা: বানান বিভ্রাট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ এমনকী দলীয় নেতার কাছ থেকেও শুনতে হয়েছে কটাক্ষ৷ এবার তাঁকে খোঁচা দিয়ে ‘বর্ণপরিচয়’ পাঠালেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী৷ তবে পুস্তক নয়৷ বর্ণপরিচয় পিডিএফ করে মেল করা হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে৷ সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে এটা আমার কর্তব্য৷’’ আগামীকাল স্পিড পোস্টে বইও পৌঁছে যাবে দিলীপের কাছে৷
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! ফটোকপির দোকানে দেদার বিকোচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম
এদিন বর্ণপরিচয় পাঠিয়ে কটাক্ষ করে কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘‘গতকাল সংসদের বাইরে প্রতিবাদে সামিল করেছিলেন বিজেপি নেতারা৷ কিন্তু তাঁদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে যে বানান লেখা ছিল, তা দিল্লির বুকে বাঙালির লজ্জা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট৷ মানুষ কী ভাববে? দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে বর্ণপরিচয় পাঠিয়েছি৷ আশা করি পরের বার বর্ণপরিচয় পড়ে প্ল্যাকার্ড তৈরি করবেন৷’’
আরও পড়ুন- দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রোলাইনে ২০০ মিটার ধস, চলছে মেরামতি
বুধবার সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে বসেছিলেন দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি সাংসদরা৷ পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের বিরুদ্ধে ধর্না দিয়েছিলেন তাঁরা৷ বিজেপি’র নেতা-নেত্রীদের হাতে ছিল এক এক রকমের প্ল্যাকার্ড৷ এর মধ্যে দিলীপ ঘোষের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, কন্যাশ্রী চাই না, নারী সম্মান চাই। ওই প্ল্যাকার্ডে যে বানান লেখা ছিল তা দেখে চক্ষুচড়কগাছ সকলের। ‘কন্যাশ্রী’ বানান লেখা হয়েছিল ‘কন্নাশ্রী’। আর ‘চাই’-এ ‘ই’-এর মাত্রা পরো উল্টে দিকে৷ এর পরেই শুরু হয় একের পর এক কটাক্ষ৷ টুইট করে তথাগত রায় লেখেন, “এইজন্যই বিদ্যাসাগর মশাই বলে গিয়েছেন, ‘মূর্খের অশেষ দোষ’। পোস্টারটা যে ছেপেছে তার কথা বলছি। বাংলা বর্ণমালার হ্রস্ব-ই বর্ণটা পর্যন্ত চেনে না!”