কলকাতা: মেদিনীপুর শহর লাগোয়া পাঁচখুড়ি গ্রামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরনের গাড়িতে হামলা৷ কনভয় লক্ষ্য করে চলল ইটবৃষ্টি৷ হামলা করা হয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার গাড়িতেও৷ জানা গিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার খবর পেয়েই এদিন গ্রামে যান কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ও রাহুল সিনহা৷ ফেরার পথে তাঁদের কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে৷
আরও পড়ুন- হিংসায় মৃতদের পরিবারকে অর্থ সাহায্য ঘোষণা মমতার, কেন্দ্রকে নিলেন একহাত
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ভি মুরলিধারন বলেন, বাংলার সংস্কৃতি মহিলাদের উপর অত্যাচারকে সমর্থন করে না৷ এটা কোনও রাজনীতিত নয়৷ এটা গুণ্ডামী৷ এই বিষয়ে রিপোর্ট পাঠানো হবে৷ অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, এটা তৃণমূলের কাজ নয়৷ গ্রামে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাহুল সিনহারা প্ররোচনা দিচ্ছিল৷ বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷ যেহেতু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শান্ত রয়েছে, সেটা ওঁদের সহ্য হচ্ছে না৷ কোথাও কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি৷ পরিদর্শনের নাম করে নাটক করে মানুষকে প্ররোচিত করে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে৷ শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রোরোচনার অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রীও৷
এই ঘটনার পর মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে সুরক্ষিত নন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা৷ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷’’ তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে৷ ১৪-জনের বেশি বিজেপি কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে৷ হামলার ভয়ে লাখো মানুষ ঘর ছাড়া৷ এটা গণতন্ত্র নয়৷ আজ যে ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীধরনের উপর হামলা করা হয়েছে, তাতে লজ্জিত গণতন্ত্র৷ তাঁর সাফ বক্তব্য, রাজ্যে সরকারের মদতেই হিংসা চলছে৷ না হলে এটা সম্ভব নয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বারবার বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ফিরে যাওয়ার পর আমার হাতেই সব ক্ষমতা ফিরবে৷ এই হুমকিরই প্রতিফলন ঘটছে৷
আরও পড়ুন- সব হাসপাতালে ৪০% শয্যা বাড়ানোর ঘোষণা মমতার
অন্যদিকে, সৌগত রায় বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর কারা হামলা করেছে, আমরা জানি না৷ যেই করে থাকুক, আমরা তার নিন্দা করছি৷ তবে কেরলার লোক হয়ে এই গ্রামে মুলীধরনের কী কাজ ছিল, সেটাই বুঝতে পারছি না৷ ভোট হয়ে যাওয়ার পরেও উনি তাজপুরে সমুদ্রের ধারে ঘুরছেন কেন? সৌগত বাবু বলেন, সব জায়গায় গিয়ে বিজেপি’র লোকজন উস্কানি দিচ্ছে৷ যাবতীয় প্রোরোচনামূলক বক্তব্য বিজেপি’ই বলেছে৷ আমরা এটা সমর্থন করি না৷ যেখানে বিজেপি জিতেছে সেখানেই গন্ডোগোল হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বলব, রাজ্যে ঘোরাফেরা বন্ধ করুন৷ আমরা রাজ্যকে শান্ত করে দেব৷