কলকাতা: তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নেওয়ার পর তিনি প্রথমেই জানিয়েছিলেন যে এই সরকারের প্রথম কাজ হবে রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। সেই প্রেক্ষিতে গতকাল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে গিয়ে পরিদর্শন করেন মমতা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যাপারে খোঁজ নেন। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়ে দিলেন, সমস্ত হাসপাতালে ৪০ শতাংশ শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যে অক্সিজেন ঘাটতি মেটাতে মেডিকেল কলেজে অক্সিজেন প্লান্ট বসবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, কোয়াক ডাক্তারদের কাজে লাগানো হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্সরাও চিকিৎসা করবেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে ৪০ শতাংশ শয্যা বাড়ানো হবে। সব হাসপাতাল, নার্সিংহোমে করোনা চিকিৎসার বেড রাখতে হবে। পাশাপাশি, আগামী ১৫ দিন সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন মমতা। বললেন, দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজেদের খেয়াল নিজেরা রাখুন। গাদাগাদি করে বাসে উঠবেন না। ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করুন। এদিকে পাটশিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাটশিল্পে একসঙ্গে ৩০ শতাংশের বেশি কর্মী কাজ করবেন না। এই সব এলাকাগুলি থেকে সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। তাই এই এলাকাগুলিতেও দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখতে। গতকাল রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে নবান্নে গিয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রথম কাজ শুরু করবে নতুন এবং তৃতীয় বারের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
ঘোষণা করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সমস্ত শপিং মল, শপিং কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, জিম, স্পা, সুইমিংপুল৷ আংশিক লকডাউন জারি থাকবে রাজ্যজুড়ে৷ এছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বিনোদন সংক্রান্ত সমাবেশ করা যাবে না৷ করা যাবে না রাজনৈতিক সমাবেশ৷ বিয়ে বাড়ি বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক আমন্ত্রণ করা যাবে না৷ চলবে আংশিক লকডাউন৷ সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে৷ এছাড়া আগামী কাল থেকে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে৷ রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাও ৫০ শতাংশ করা হবে৷ কলকাতা, বাগডোগড়া এবং অন্ডাল বিমানবন্দরে কোভিড রিপোর্ট ছাড়া আসা যাবে না৷ লাগবে আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট৷