হিংসায় মৃতদের পরিবারকে অর্থ সাহায্য ঘোষণা মমতার, কেন্দ্রকে নিলেন একহাত

হিংসায় মৃতদের পরিবারকে অর্থ সাহায্য ঘোষণা মমতার, কেন্দ্রকে নিলেন একহাত

কলকাতা: নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এই বাংলায় একাধিক জায়গায় হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা একহাত নিলেন বিজেপিকে। প্রবল সমালোচনা করে বললেন, একটা সরকার ক্ষমতায় এসেছে ২৪ ঘণ্টাও হয়নি, তারই মধ্যে বারবার চিঠি চলে আসছে, কেন্দ্রীয় দল চলে আসছে। জায়গায় জায়গায় বিজেপি হিংসা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হবে। যদিও বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তাঁর বক্তব্য, যেখানে বিজেপি একটু বেশি আসন পেয়েছে সেখানেই গন্ডগোল হচ্ছে। কোচবিহারে হিংসা বেশী হচ্ছে। ওখানে উদয়ন গুহর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যদিও হিংসায় যারা জড়িত তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন যে বাংলার মানুষের রায় মেনে নিতে পারছে না বিজেপি তাই জন্য আরও গন্ডগোল করছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে আবার বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। মানুষের রায় মানতে না পেরে এইসব করছেন তারা। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, যখন অক্সিজেন থাকে না তখন তো কেন্দ্রীয় দল আসে না, যখন স্যালাইন থাকে না, যখন দিল্লিতে দাঙ্গা হয়, যখন উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা হয়, যখন উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ হয় তখন তো কেন্দ্রীয় দল আসে না সেখানে। 

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, কোয়াক ডাক্তারদের কাজে লাগানো হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্সরাও চিকিৎসা করবেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে ৪০ শতাংশ শয্যা বাড়ানো হবে। সব হাসপাতাল, নার্সিংহোমে করোনা চিকিৎসার বেড রাখতে হবে। পাশাপাশি, আগামী ১৫ দিন সতর্ক থাকার বার্তা  দিলেন মমতা। বললেন, দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজেদের খেয়াল নিজেরা রাখুন। গাদাগাদি করে বাসে উঠবেন না। ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করুন। এদিকে পাটশিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাটশিল্পে একসঙ্গে ৩০ শতাংশের বেশি কর্মী কাজ করবেন না। এই সব এলাকাগুলি থেকে সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। তাই এই এলাকাগুলিতেও দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখতে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *