কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়াল। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে দলগুলি। বেড়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এখনই মন্তব্য করে দিয়েছেন যে ছাপ্পা ভোট না হলে ভবানীপুরে জিতবে বিজেপি। এবার ‘নিরপেক্ষতা’ বজায় রাখতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে গিয়ে একাধিক দাবি করল বিজেপি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন- ফের বিজেপিতে ধস! গোসাবা কেন্দ্রের প্রার্থী এবার তৃণমূলে
এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল, যে দলে ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী, শিশির বাজোরিয়া, অর্জুন সিং এবং সৌমিত্র খাঁ। তাদের বক্তব্য, ভোটকেন্দ্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গেলে রাজ্য সরকারি নয় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের পোলিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করতে হবে। কারণ ভবানীপুরে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আবার তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই বিজেপি মনে করছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে কেউ যদি পোলিং অফিসার হন তাহলে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। তাই ভবানীপুরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মধ্যে পোলিং অফিসার চাইছে বিজেপি। একই সঙ্গে তাদের আরও দাবি, পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম, তাই তিনি যেন ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না পারেন। বিজেপির আশঙ্কা, ভোটে বাধা দিতে পারেন ফিরহাদ। এর পাশাপাশি, বুথে পোলিং এজেন্ট বসতে না দেওয়ার আবেদনও করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- উত্তাল দিঘা, নিষেধ অমান্য করেই সমুদ্রে নামলেন পর্যটকরা
আজ ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়াল মনোনয়ন জমা দেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু স্পষ্ট বলেছেন, যদি ছাপ্পা না হয়, তাহলে ভবানীপুরে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবে বিজেপি। তাঁর কথায়, এই লড়াই শুধু প্রিয়াঙ্কা বনাম মমতা নয়, রাজ্যবাসীর লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। একজন প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে ঘরছাড়া করেছেন, এবং অন্যজন তাঁদের হয়ে লড়াই করছে, তাঁদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। তাই গণতন্ত্র বাঁচানোর এই লড়াইয়ে ভবানীপুরের মানুষ চুপ থাকবেন না বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।