কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠিক যে অবস্থা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের এখন ঠিক সেই অবস্থা হচ্ছে বিজেপির। ভোটের ফলের পর ইতিমধ্যেই একাধিক বিধায়ক দল ছেড়েছেন। তাঁরা যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। সেই ভাঙন এখনও অব্যাহত। কারণ এবার গোসাবার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বরুণ প্রামাণিক তৃণমূলে ফিরে এলেন। সঙ্গে সঙ্গেই ফাটল দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি শিবিরে।
আরও পড়ুন- BREAKING: ভবানীপুরে উপনির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামালার গ্রহণযোগ্যতা কী? আদালতে প্রশ্ন কমিশনের
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন তিনি। বক্তব্য ছিল, পুরনো দলে তাঁর দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই সেই মোহভঙ্গ হয়েছে গোসাবার বিজেপি প্রার্থীর। ভোটে তো হেরেইছেন, এবার দল বদল করে যেন ‘পাপের’ প্রায়শ্চিত্ত করলেন। ফের একবার এই দল বদল নিয়ে বরুণ জানিয়েছেন, তৃণমূলে ফিরে আসতে পেরে তিনি আনন্দিত, দল তাঁকে ফের সুযোগ দিয়েছে তাই তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি আরও জানান, দল যেভাবে তাঁকে কাজে লাগাবে, তিনি সেই ভাবেই কাজ করবেন। তাঁকে আবার দলে ফিরে পেয়ে খুব খুশি গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- আইকোর চিটফান্ড মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে শিল্পভবনে CBI
অন্যদিকে আবার আগেই বিজেপিতে বড় ভাঙন হয়েছে গাইঘাটায়। ফুলশরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা অনুশ্রী দাস সাহা এবং চাঁদপাড়া বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি-সহ অন্তত ৫০০ জন কর্মী-সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে সেই দলে টিকতে পারছিলেন না। একই সঙ্গে তাঁরা আরও জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞের শরিক হতেই তাঁরা তৃণমূলে এসেছেন। এই দল বদলের ফলে সেই এলাকার দলীয় কার্যালয় হাতছাড়া হয়েছে বিজেপি শিবিরের। যদিও তাঁদের দাবি, তৃণমূল তাঁদের কার্যালয় দখল করেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।