কলকাতা: বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে তৃণমূলের হাত ধরতেও আপত্তি নেই৷ তবে কি তৃণমূলের কাছে আসার ইঙ্গিত দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিমান বসু? সারা দেশের বিজোপি বিরোধী জোটে তৃণমূলে যে তাঁর আপত্তি নেই, সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন বর্ষীয়ান নেতা৷ শনিবার মধ্যমগ্রামে চিত্ত বসু মঞ্চে বামেদের আয়োজিত একটি রক্তদান শিবিরে এসে তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, কোচ থেকে কোহিমা আমাদের বিশাল দেশ৷ সারা ভারতে বিজেপির বিরুদ্ধে যারা লড়াই করবে, তাদের সঙ্গে আমরা আছি৷ তবে পশ্চিমবঙ্গের বিষয়টা ভিন্ন।’’
আরও পড়ুন- মা আসছে, কিন্তু বায়না কোথায়? দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা
এদিন বিমান বসু আরও একবার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, কেন্দ্রে তৃণমূলের সঙ্গে সহাবস্থানে আপত্তি নেই৷ তবে রাজ্যে তৃণমূল বিরোধিই থাকবে৷ কিন্তু তা বলে রাজ্যে সিপিএম যে তৃণমূলের কট্টর বিরোধিতায় নেই তা এদিন প্রকাশ পেয়েছে বিমান বসুর বক্তব্যেই। তিনি বলেন, সরকারি প্রকল্পকে প্রয়োজনে হেল্প লাইন ডেস্কের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে৷ এই কাজে সিপিএম পিছপা হবে না৷
বিভিন্ন জেলায় সিপিএম নেতা কর্মীদের ইতিমধ্যেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পর ফর্ম ফিলাপ করতে দেখা যাচ্ছে এবং বিমান বসুর মত প্রথম সারির নেতা বিষয়টি প্রকাশ্যে সমর্থন করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর থেকে এটা স্পষ্ট যে তৃণমূল ও সিপিএম রাজ্যেও রাজনৈতিকভাবে আরও কাছে আসছে৷ আর সেই জল্পনা উসকে দিয়েছেন বিমান বসু।
আরও পড়ুন-Breaking: ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রথম গ্রেফতারি CBI-এর
সিপিএম তৃণমূল সখ্য নিয়ে বিজেপির ব্যঙ্গকে নস্যাৎ করতে বিমানবাবু বলেন, বিজেপির বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই৷ কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও রুচিরা বন্দোপাধ্যায়কে তলব নিয়েও সংযত মন্তব্য করে কার্যত তৃণমূল শীর্ষ নেতা প্রসঙ্গে বিতর্কে থেকে দূরেই থাকেন বিমান বসু।