‘ঋজুদা’ স্রষ্ঠা সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ প্রয়াত, সাহিত্যজগতে নক্ষত্রপতন

‘ঋজুদা’ স্রষ্ঠা সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ প্রয়াত, সাহিত্যজগতে নক্ষত্রপতন

86958ce606b6e912e66d7bb9d88794d5

কলকাতা: সাহিত্যজগতে নক্ষত্রপতন৷ প্রয়াত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ৷ বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর৷ গত ৩১ জুলাই থেকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।  রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহিত্যিক৷   

আরও পড়ুন- টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়, বেআইনি লকারের হদিশ

গত এপ্রিল মাসে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল অশীতিপর এই সাহিত্যিক৷ প্রায় এক মাস কঠিন লড়ইয়ের পর বাড়ি ফিরেছিলেন ৷ কিন্তু গত অগাস্ট মাসে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন বুদ্ধদেব গুহ৷ শুরু হয় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা৷ পাশাপাশি মূত্রনালিতেও সংক্রমণ ধরা পড়েছিল সাহিত্যিকের৷ কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর নানা সমস্যা ঘিরে ধরেছিল তাঁকে৷ চার চিকিৎসকের একটি দল তাঁর চিকিৎসা করছিলেন৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হল না৷ 

বরাবরই মূল ধারার সাহিত্য থেকে তাঁর লেখার সুর ছিল ভিন্ন৷ বাংলা সাহিত্য জগতে এক নিঃসঙ্গ নাম বুদ্ধদেব গুহ৷  তিনি পরিচিত ছিলেন অরণ্য প্রেমিক হিসাবে৷ তবে তাঁর অরণ্য প্রেম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে আলাদা৷ তবুও বহু পাঠকের কাছেই তিনি পরিচিত শিকার কাহিনী বা অরণ্য প্রেমিক হিসাবেই৷ 

বুদ্ধদেব গুহর জন্ম ২৯ জুন, ১৯৩৬৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে পড়াশুনা করেন তিনি। বুদ্ধদেব গুহর পেশাগত জীবন শুরু হয়েছিল চাটার্ড অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে৷ তিনি ছিলেন একজন নামী চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। দিল্লির কেন্দ্রীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের অডিশন বোর্ডের সদস্যও হয়েছিলেন তিনি৷

আরও পড়ুন- দিঘায় ঘুরতে এসে ‘খুন হলেন’ পর্যটক, চাঞ্চল্য

শুধু তাই নয়, ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সদস্য৷ একদা বামফ্রন্ট আমলে তাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনবিভাগের বন্যপ্রাণী উপদেষ্টা বোর্ড পশ্চিমবঙ্গ বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ড এবং নন্দন উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য করা হয়েছিল। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনে পরিচালন সমিতির সদস্যও নিযুক্ত হয়েছিলেন। লেখার পাশাপাশি বুদ্ধদেব গুহ খুব সুন্দর ছবিও আঁকতেন। নিজের লেখা একাধিক বইয়ের প্রচ্ছদ তিনি নিজেই এঁকেছেন। গায়ক হিসেবেও তিনি বহুজনের প্রিয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *