টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়, বেআইনি লকারের হদিশ

টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়, বেআইনি লকারের হদিশ

বাঁকুড়া: টেণ্ডার দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে এবার বিপুল পরিমান গহনার সন্ধান পেল পুলিশ। বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ঘনিষ্ট রামশঙ্কর মহান্তি ওরফে খোকনকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের লকারের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। রামশঙ্কর মহান্তির নামে ভাড়া নেওয়া ওই লকার থেকে বিপুল পরিমান গহনার খোঁজ মেলে।

আরও পড়ুন- অ্যাপ ক্যাপ বুক করে টোপ, চালককে মারধর করে গাড়ি ছিনতাই, গ্রেফতার ৬

ওই গহনাগুলি প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বলে রামশঙ্কর মহান্তি পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে ঠিক কত পরিমাণ গহনা সে তথ্য না প্রকাশ্যে এলেও কয়েকশো গ্রাম সোনা ও রুপো রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর মারফৎ জানা গিয়েছে। অন্যদিকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রের খবর, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে বিভিন্ন সময়ে ২০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা নগদ জমা করা হয়েছে। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০ লক্ষ টাকা জমা করার তথ্যও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এছাড়াও নজরে রয়েছে শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের ছেলে ও মেয়ের অ্যাকাউন্টগুলি। তাদের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। স্বভাবতই, শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে মেয়েদের জমা টাকার উৎস কি? এখন এটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।

রবিবারই শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় দফার পুলিশি হেফাজতের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এদিনই তাঁকে ফের আদালতে তোলা হয়৷ তবে এদিন আর নতুন করে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায়নি পুলিশ৷ ফলে বিচারক ১০ কোটির টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে পৌরসভা টেণ্ডার দূর্ণীতি কাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। রবিবার স্থানীয় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সওয়াল জবাব শেষে বিচারক ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে সরকারী আইনজীবি অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *