‘বাপের বেটা হলে জয়সীয়ারাম বলাব, মহিষাসুর বধ সময়ের অপেক্ষা’, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

‘বাপের বেটা হলে জয়সীয়ারাম বলাব, মহিষাসুর বধ সময়ের অপেক্ষা’, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

কুলপি:  দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলপির জনসভা থেকে ‘দিল্লির মহিষাসুর বধে’র হুঙ্কার দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি৷ বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, ক্ষমতা থাকলে জয় শ্রীরাম নয়, জয় সীয়ারাম বলে দেখাক বিজেপি নেতারা৷ 

আরও পড়ুন-  ‘কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী’! ফের রাজপথে আক্রান্ত SSC উত্তীর্ণ বহু চাকরিপ্রার্থী

এদিন অভিষেক হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘‘সবাই এক দিকে আর একদিকে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি মা দুর্গার প্রতিচ্ছবি৷ আগামী দিন মহিষাসুরগুলো বধ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা৷’’ প্রসঙ্গত, গতকাল একটি সভায় দিলীর ঘোষ বলেছিলেন, তাঁরা রামের চৌদ্দ পুরুষ সম্পর্কে জানেন৷ কিন্তু মা দুর্গার চৌদ্দ পুরুষের কোনও কিছু জানেন না৷ দুর্গাকে কে জানে? সেই কথার রেশ টেনে অভিষেকের তোপ, ‘‘মহিষাসুর বধ মনে আছে তো? এবার দিল্লির মহিষাসুরগুলোকেও বধ করা হবে৷ মা দুর্গা দশপ্রহরণধারিনী৷ এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা দুর্গা রূপে একদিকে আর সারা দেশের বিজেপি নেতারা এক দিকে৷ তাঁদের সঙ্গে আছে ইডি, সিবিআই, ইনকামট্যাক্স, একাধিক এজেন্সি, দশটা মুখ্যমন্ত্রী, ক্যাবিনেট মন্ত্রী আর জদাই-মাধাই-গদাই৷ অর্থাৎ সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি৷’’

অভিষেক আরও বলেন, অমিত শাহ বলে গিয়েছে ভোটের পরে মমতা দিদিও জয় শ্রীরাম বলবেন৷ তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, বাপের বেটা হলে বিজেপি নেতাদের দিয়েও জয় সিয়ারাম বলিয়ে ছাড়ব৷ কারণ মহিলাদের যোগ্য সম্মান দিতে হবে৷ আর বাংলা সেটা শেখাবে৷ অভিষেক বলেন, ‘‘আমাদের এখানে কন্যা সন্তানকে মা বলে ডাকা হয়৷ আমার নিজের মেয়েকেও আমি মা বলি৷ কিন্তু বিজেপি মেয়েদের সম্মান করতে জানে না৷ আর মেয়েদের অসম্মান করা মানে মা লক্ষ্মীকে অসম্মান করা, মা দুর্গাকে অসম্মান করা৷’’ 

আরও পড়ুন- বাংলা ভোটে বদলে যাচ্ছে ভোটের পদ্ধতি, নতুন সুবিধা কমিশনের

অভিষেক বলেন, যাঁরা জয় শ্রী রাম বলছেন, তাঁরা জয় সীয়ারামন বলুন৷ বলার ক্ষমতা আছে? বিজেরি নেতাদের চ্যালেঞ্জ করছি, জয় শ্রীরাম না বলে জয় সিয়ারাম বলে সভা করুন৷ কিন্তু সেটা করার ক্ষমতা নেই৷ কেননা বিজেপি মহিলাদের সম্মান দিতে জানে না৷ 

তাঁর অভিযোগ, বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে৷ একটা মানুষ কি হাটের গরু আর ছাগল? যে ১৮ হাজার টাকায় বিজেপি’র কাছে বিক্রি হবে৷ প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ৷ তিনি বলেন, এই মাটি আন্দোলনের মাটি, সংগ্রামের মাটি৷ এই মাটি বশ্যতা স্বীকার করবে না৷ মাথা নত কররে না৷ মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না৷ এই মাটি উত্তরপ্রদেশ-গুজরাত নয়৷ এটা বাংলা৷ এই বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি না থাকত, তাহলে আজও সিপিএমের নল আর বন্দুকের নীচে দাঁড়িয়ে স্তাবকতা স্বীকার করে থাকতে হত৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =

‘মমতার ১টা ইঞ্জিনের মোকাবিলা করতে ৫০০ ইঞ্জিন নামাতে হচ্ছে বিজেপির’, কটাক্ষ অভিষেকের

‘মমতার ১টা ইঞ্জিনের মোকাবিলা করতে ৫০০ ইঞ্জিন নামাতে হচ্ছে বিজেপির’, কটাক্ষ অভিষেকের

কুলপি:  দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলপি’র জনসভা থেকে বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সুর চড়িয়ে বললেন, ‘যাঁরা বলছে ইস বার ২০০ পাড়, তাঁদের বলব ক্ষমতা থাকলে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে হোক নেতা এনে এই মাঠে এই জনসভা করে দেখাও৷ কত ক্ষমতা আছে দেখি৷ 

আরও পড়ুন-  রেকর্ড ডাউনলোড ‘দিদির দূত’ অ্যাপ, কী রয়েছে এতে? আপানার থেকেই বা কী তথ্য চাওয়া হচ্ছে?

তাঁর কথায়, তৃণমূলই তৃণমূলের রেকর্ড ভাঙছে৷ তাই দক্ষিণ ২৪ পরগণায় যাঁরা বলছে ৩১ শের মধ্যে ৩১টি আসনেই পদ্ম ফুটবে, তাঁরা আগে একটা বুথে পদ্ম ফুটিয়ে দেখাক৷ কারণ ভোট হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের নিরিখে৷ হুঙ্কার অভিষেকের৷ তিনি বলেন, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, গতিধারা, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথী প্রকল্পের নিরেখে মানুষ ভোট দেবে৷ 

তোপ দেগে অভিষেক বলেন, দিলীপ ঘোষ বলছেন গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায়৷ সেই সোনা দিয়েই কি সোনার বাংলা বানাবে বিজেপি? আগে সোনার মধ্যপ্রদেশ বানান, সোনার গুজরাত বানান৷ তার পর বাংলার দিকে চোখ তুলে তাকাবেন৷ অভিষেক বলেন, ‘‘এই বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন নারী রয়েছেন৷ যাঁর সঙ্গে লড়াই করতে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তাবড় তাবড় ক্যাবিনেট মন্ত্রী, একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সর্বভারতীয় স্তরের শয়ে শয়ে নেতা বাংলায় ক্যাম্প করে বসে আছেন৷ বলছেন আমরা ডবল ইঞ্জিন সরকার করবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা ইঞ্জিনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়ে তো ৫০০ ইঞ্জিন মাঠে নামাতে হচ্ছে৷ ডবল ইঞ্জিন সরকার কোথা থেকে হবে?’’

আরও পড়ুন- বিরাট সুখবর রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য, ভোটের আগেই মুখে হাসি

তাঁর কথায়, ‘‘৫ ফুট ২ ইঞ্চির একজন মহিলা, টালির ছাদের ঘরে বাস করেন, হাওয়াই চটি পড়েন, গ্রাম থেকে গ্রাম, অঞ্চল থেকে অঞ্চল দাপিয়ে বেড়ায়৷ তাঁর সঙ্গে মোকাবিলা করতে দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ সব জায়গা থেকে নেতা নিয়ে আসতে হচ্ছে৷ আর বলছে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়বে৷ বিজেপি নেতারা বলছে রাজ্য আর কেন্দ্রে একই সরকার থাকবে৷ মোদীর হাতে বাংলাকে তুলে দিতে হবে৷ বাংলাটা কি জয়নগরের মোয়া? আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণা তুলে দেখাও৷ এখানে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি৷        

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 12 =