কলকাতা: শারদীয়া উৎসবের আগেই নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি এবং চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। নবম ও দশম শ্রেণীর চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বৈঠক করার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন- এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে রাজসাক্ষী হওয়ার আর্জি অর্পিতার, চার্জশিটে দাবি ইডি-র
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গত ৭ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ জারি হয়। এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ”কতজন বেআইনি নিয়োগ হয়েছে?” উত্তরে বিল্লদ্বল ভট্টাচার্য, সিবিআই আইনজীবী জানান, ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে। তবে বিচারপতি বলেন, তিনি আগে সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান কোনও বেআইনি নিয়োগ হয়েছে কিনা। আবেদনকারী ১৭ জনের কথা বলছে। এবার সিবিআই আইনজীবী জানান বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। একই প্রশ্ন তিনি এসএসসির আইনজীবীকেও করেন। তিনি জানান, সিবিআই হাতে নেওয়ার পর তাঁরা দেখেননি। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে চাকরি বাতিল করে নতুনদের চাকরি দেবেন।
বিচারপতির নির্দেশ, সিবিআইকেও রিপোর্ট দিতে হবে যে কতজন বেআইনি নিয়োগ হয়েছে তাও আগামী সপ্তাহে মধ্যে। প্রয়োজনে সিবিআই নতুন এসএসসির চেয়ারম্যানের সাহায্য নেবে। তবে এসএসসির আইনজীবী আরও জানান, এসএসসির পক্ষে এটা অসম্ভব কারণ রেকর্ড সিবিআইয়ের হেফাজতে। এই ইস্যুতে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বোর্ড একমাত্র তাদের ট্যালি থেকে বলতে পারবে। এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, তিনি বেআইনি নিয়োগকারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে যারা ওয়েটিংয়ে আছে তাদের অবিলম্বে চাকরি দিতে চান। তারা অনেক অপেক্ষা করেছে। মামলাও অনেকদিন চলছে। আর সময় নষ্ট করতে চান না। তিনি চান প্রকৃত চাকরিপ্রাথীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে।
আরও পড়ুন- মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বোল তুলবেন রামনগরের নমিতা-সোনালিরা, চলছে প্রস্তুতি
তাই তাঁর নির্দেশ, এসএসসিকে অবিলম্বে আবেদনকারীর আইনজীবী ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক ডাকতে হবে। সেখানে কতজন বেআইনি নিয়োগ হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখে আদালতকে রিপোর্ট দিতে হবে। পাশাপাশি সিবিআইকে কতজন বেআইনি নিয়োগ হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখে আদালতকে রিপোর্ট দিতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে উভয়কেই।