মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বোল তুলবেন রামনগরের নমিতা-সোনালিরা, চলছে প্রস্তুতি

মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বোল তুলবেন রামনগরের নমিতা-সোনালিরা, চলছে প্রস্তুতি

b2d62eea6322d8f19f1a847e721231b6

কলকাতা: ‘যমুনা ঢাকি’৷ না কোনও ধারাবাহিক নয়৷ এরা বাস্তবের যমুনা৷ মা আসছেন৷ পিতৃপক্ষের সমাপ্তিতে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। মাতৃ আরাধনায় পুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে উঠবে ঢাকের বোল৷ তাতে সামিল হবেন আরামবাগের মহিলা ঢাকিরা। পুজোর আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দ্বারকেশ্বর নদের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে  সালেপুরের রামনগর গ্ৰাম৷ যা এখন মহিলা ঢাকিদের গ্ৰাম নামেই অধিক পরিচিত। এবার পুজোয় তাঁরা ডাক পেয়েছেন মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। মহলায়া পেরলেই পিঠে ঢাক নিয়ে মণ্ডপের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়বেন অপর্ণা মণ্ডল, নমিতা দলুই, মাধবী হেমব্রমরা।

আরও পড়ুন- এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে রাজসাক্ষী হওয়ার আর্জি অর্পিতার, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

হুগলির আরামবাগ শহর থেকে কয়েক মাইল দূরে সালেপুর-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের রামনগর গ্ৰাম। আকাশে শরৎ-এর পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভিড় জমালে সংসারের কাজ সেরে  গির্জাতলায় জড়ো হন গ্ৰামের মহিলা ঢাকিরা৷ কাঁধে ঢাক ঝুলিয়ে দুই কাঠিতে ঢাকের বোল তোলেন তাঁরা। মাঠে স্বামীর সঙ্গে জমিতে কাজ করেন নমিতা৷ কাজ থেকে ফিরে তিনি বলেন, জমির কাজের পাশাপাশি সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব সামলে দু’বেলা ঢাকের তালিম নিচ্ছি। আমাদের দলের মাথা দিলীপকুমার দাস৷ তিনি নিত্যদিন তালিম দিতে আসেন। তিনবছর ধরে এই দলের সঙ্গে ঢাক বাজাচ্ছেন নমিতা। গত দু’ বছর করোনার জেরে বায়না হয়নি। অর্থকষ্টে ভুগতে হয়েছে। তবে এবার ষষ্ঠী থেকে দশমী বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপে ঢাক বাজাবেন তাঁরা। দলের অপর এক সদস্য সোনালী দাস বলেন, আমাদের গ্ৰামের কালীপুজোয় একবার দিলীপবাবুর মহিলা ঢাকির দল এসেছিল ঢাক বাজাতে। সেইসময় মেয়েদের ঢাক বাজানো দেখে খুব ভালো লেগেছিল৷ দিলীপবাবুকে বলেছিলাম, ওঁর দলে নেওয়ার কথা। দলে যোগ দেওয়ার সুগোগ পাওয়ার পর থেকে মন দিয়ে ঢাক বাজানো শিখেছি।