তেহরান: সংস্কৃতি ভঙ্গ হয়েছে। তরুণী হিজাব পরেননি। তাই তাঁকে ‘শাস্তি’ দিতে পুলিশ নিয়ে গেল থানায়। পরে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল ২২ বছর বয়সী তরুণীর। ঘটনাটি ঘটেছে ইরানে। আর এই ঘটনায় আবার বিতর্কের শিরোনামে চলে এসেছে এই দেশ। ইরানে মৌলবাদের বাড়বাড়ন্তের বিষয় নতুন কিন্তু নয়। তবে এই ঘটনা যে বৃহৎ বিতর্কের সৃষ্টি করে দিল তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। আসলে ঘটনাটি কী ঘটেছে?
আরও পড়ুন: খুব দ্রুত আগমণ ঘটাবে ‘ডিজিজ এক্স’! শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা কার্যত দিশাহীন
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক কোনও কারণে কুর্দিস্তান থেকে দেশের রাজধানী তেহরানে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। গাড়িতে ছিলেন এবং তার সঙ্গে তার ভাইও ছিলেন। রাস্তায় এক জায়গায় গাড়ি থামায় পুলিশ। ভিতরে কোনও মহিলা আছে কিনা বা থাকলে তিনি ‘নিয়ম’ মেনে হিজাব পরেছেন কিনা তা দেখাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। আর গাড়ি থামিয়ে যখন সেই ‘নীতি পুলিশ’ দেখে যে ওই তরুণী হিজাব পরেননি, তখন তাঁকে নামিয়ে সরাসরি পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয় হয়।
ওই তরুণীর ভাই জানিয়েছেন, দিদির জন্য তিনি থানার বাইরে প্রায় ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন, কিন্তু তাকে আর বেরিয়ে আসতে দেখেননি। পরে থানার সামনে অ্যাম্বুলেন্স দেখে তার সন্দেহ হয়। পরে থানার কাছাকাছি গিয়ে তিনি দেখেন অন্য কিছু মহিলারা বেরিয়ে আসছেন, যাদের হয়তো একই কারণে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের কারোর মুখেই তিনি শুনতে পান, ভিতরে খুন হয়েছে! কিছুক্ষণ পরে জানতে পারেন যে তার দিদির সঙ্গেই কিছু ঘটেছে। থানা থেকে ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রথমে জানান হয় তিনি কোমায় চলে গিয়েছেন। কিছু সময় পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন- নাটকীয় ভাবে কমছে! কোভিডের শেষ কি দেখতে পাচ্ছে ‘হু’
পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই তরুণী আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু থানার যে সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ের ১৯ সেকেন্ডের ভিডিও নেই! একটি ঘরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। একটা সময় তরুণীর প্রায় কাছে এসে কিছু বলতে দেখা যায় এক অফিসারকে, ঠিক তার পরের ফুটেজই নেই। এরপর দেখা যায়, ওই তরুণী মাটিতে পরে গেলেন।
