মুম্বই: মুকেশ আম্বানী, অনিল আম্বানী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জেড প্লাস নিরাপত্তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে৷ মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে ওই আবেদন খারিজ করে বম্বে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত৷
আরও পড়ুন- রিলায়েন্স-ফিউচারের বিরুদ্ধ মামলায় আদালতের রায়ে এগিয়ে অ্যামাজন, অস্বস্তিতে আম্বানী
মুকেশ আম্বানী কেবল ভারতেরই নয়, বিশ্বের চতুর্থতম ধনী ব্যক্তি৷ এদিন বম্বে হাইকোর্টের রায়কে সমর্থন করেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আম্বানী ভাইদের জীবনের সুরক্ষার্থে উচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া উচিত৷ আদালত জানায়, যাঁদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে এবং যাঁরা সুরক্ষার আওতাভুক্ত যাবতীয় খরচ বহন করতে সক্ষম, তাঁদের উচ্চ স্তরের সুরক্ষা দিতে হবে৷ আবেদনকারীর দাবি ছিল যে, আম্বানি ভাইরা নিজেদের সামর্থে নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেন৷ সরকারের টাকায় তাঁদের জেড প্লাস স্তরের সুরক্ষা দেওয়া নিরর্থক৷ মামলাকারী হিমাংশু আগরওয়ালের আইনজীবী করণ ভারিহোক বিচারপতি অশোক ভূষণ, আরএস রেড্ডি এবং এমআর শাহর বেঞ্চকে জানান, ‘‘আম্বানী ভাইদের জীবনের সত্যিই কোনও ঝুঁকি রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত না হয়ে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হলে সরকারি সম্পদ নষ্ট হবে৷’’
এর আগে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের৷ জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, এমন নাগরিকদের সুরক্ষা দায়ও সরকারের উপরেই বর্তায়৷ এদিন সুপ্রিম কোর্টে আম্বানি ভাইদের আইনজীবী প্রবীণ অ্যাডভোকেট মুকুল রোহাতগী বলেন, দুই ভাইই দেশের সুপরিচিত ব্যবসায়ী। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের রাজস্বও ভারতের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে৷ তাই এত বড় ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত। মুকুল রোহাতগি আরও বলেন যে, সরকারের দেওয়া সুরক্ষার বিনিময়ে অম্বানি ভাইরা সমস্ত ব্যয় বহন করেন।
আরও পড়ুন- পুজোর পর বদলে যাচ্ছে গ্যাস বুকিংয়ের ফোন নম্বর, পড়ুন বিস্তারিত
২০১৩ সালে মনমোহন সিং জমানা থেকেই জেড প্লাস সুরক্ষা পানয় মুকেশ আম্বানীরা৷ সেই সময়ও মুকেশ আম্বানীকে দেওয়া জেড প্লাস সুরক্ষার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট মনমোহন সরকারের কাছে জবাব চেয়েছিল। প্রসঙ্গত, অম্বানী তাঁর নিরাপত্তায় নিযুক্ত সমস্ত জওয়ান এবং এসকর্ট যানবাহনের খরচ মিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নিজেই বহন করেন৷