নয়াদিল্লি: নিজেকে নিয়ে মানুষ এখন অনেক বেশি ব্যস্ত৷ কী খাব, কী জামা-কাপড় পড়ব, নিজেদের কী ভাবে যত্ন নেব, তা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন৷ অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক৷ যে সমাজের মানুষ শহিদদের স্মরণ করেছে, তাঁদের বলিদানকে কুর্নিশ জানিয়েছে, সেই সমাজের ক্ষেত্রে এটা একটা পরিবর্তন৷ মানুষ এখন উপার্জনের পাশাপাশি বিনিয়োগ, ব্যয় এবং এমন উপায়ে সংরক্ষণ করতে চায় যা তাঁদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে৷ গত ১০ বছরে এই পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো৷ এই পরিবর্তনের জন্য কেউ কুন্ঠিত নয়৷
আরও পড়ুন- বিনা ইন্টারনেটেই করা যাবে ই-পেমেন্ট, নয়া উদ্যোগ আরবিআইয়ের
১০ বছর আগে ব্যাঙ্কিং, রিটেল, ফিনান্স, টেলিকম, ইনস্যুরেন্স, টেকনোলজি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কর্ম সংস্থানের বড় সুযোগ ছিল৷ বেসরকারি কলেজগুলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো রিটেল, টুরিজম এবং অর্থায়ন নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি করা হচ্ছিল৷ কল সেন্টারের চাকরি ছেড়েও এই বিষগুলির প্রতি ছেলেমেয়েরা ঝুঁকছিল৷ এখন ৬০ বছরে অবসরের চিন্তা খুবই এক ঘেঁয়ে হয়ে উঠেছে৷ অনেকেই দুটি স্বতন্ত্র কেরিয়ার রাখতে চাইছে৷ প্রথমে ১৫-২০ বছর চলার মতো অর্থ৷ আর দ্বিতীয়টি কোনও লক্ষ্য পূরণ, পরিষেবা বা বিনিয়োগে উচ্চ ঝুঁকির আনন্দের জন্য৷ অনেকেই প্রথমেই মুক্ত উপায়ে পর্যাপ্ত উপার্জনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করে এবং ভিড় এড়িয়ে দূরে ভালো জীবনযাপন করার চেষ্টা করে। উপার্জনের এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের জন্য আশা, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা, অসম আয়ের সঙ্গে বাঁচার ইচ্ছা এবং ভুল হলে পুনরায় শুরু করার সুযোগ থাকা প্রয়োজন৷
আরও পড়ুন- আরও বাড়ছে টিভি-মোবাইলের দাম, চড়ছে এসি, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন
কম সঞ্চয় এবং বেশি ব্যয় নিয়ে ভয় থাকলেও আমাদের সঞ্চয়ের অভ্যাস রাখতে হবে৷ সন্তানের ভবিষ্যৎ, ক্রমবর্ধমান আর্থিক লক্ষ্য পূরণ এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের প্রয়োজন রয়েছে৷ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পরিবর্তনগুলি আরও বেশি সুস্পষ্ট ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷