নয়াদিল্লি: নয়া বাজেট প্রকাশের আগেই দাম বাড়ছে গৃহস্থালীর পণ্যের। নিত্যদিনের জিনিসপত্র, সবজি ও কাঁচামালের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির জন্যই চাপে পড়েছে ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল, মোবাইল ও ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন ক্ষেত্র। বিভিন্ন উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের জোগানের অভাবের কারণেই চলতি মাস থেকে ওয়াশিং মেশিন, এয়ারকন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন সেট ও মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে চলেছে।
গত এক বছরে দেশীয় বাজারে অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত, তামা ও জিঙ্কের মত ধাতুর দাম বেড়েছে প্রায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ। অপরিশোধিত তেলের দাম দেশীয় বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ। লকডাউনের জেরে বিদেশ থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানি করাও দুস্কর হয়ে উঠেছে। এই আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির জেরেই ধাক্কা খেয়েছে উৎপাদন শিল্প। আর সে কারণে প্রায় বাধ্য হয়েই ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের দাম ৩ থেকে ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে উৎপাদক সংস্থাগুলি।
এদিকে, চলতি বছরের আগে মোবাইল সেটের দাম বেড়েছে মোট তিনবার। মোবাইল চিপের আমদানি কমেছে বেশ অনেকটা। চিন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে ভারতে যন্ত্রাংশ আমদানির উপর জারি হয়েছে কড়া নিয়ন্ত্রণ। লকডাউনের বাজারে চাহিদা কম থাকলেও গত মাস তিনেকক ধরে উৎসবের মরশুমে দেশীয় বাজারে মোবাইল ফোনের চাহিদা বেড়েছে মারাত্মকভাবে। যে চাহিদা পূরণ করতে হিমসিম খাচ্ছে উৎপাদক সংস্থাগুলি। সেই কথা মাথায় রেখেই এই মূল্যবৃদ্ধি বলে জানা গিয়েছে। এই মর্মে বণিকসভাকে সতর্কবাণীও দিয়ে রেখেছে উৎপাদক কোম্পানিগুলি। তবে এভাবেই যদি ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে তাহলে খুব শিগগিরই দেশের অর্থনীতি ফের একবার মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।