নেই ইন্টারনেট-মোবাইল, বাইকে করেই চলছে রুদ্র স্যারের ‘মহল্লা ক্লাস’

নেই ইন্টারনেট-মোবাইল, বাইকে করেই চলছে রুদ্র স্যারের ‘মহল্লা ক্লাস’

 

রাইপুর: করোনা পরিস্থিতিতে জারি লকডাউনের চড়া মাশুল গুনতে হয়েছে আমাদের দেশের অসংখ্য পড়ুয়াকে৷ শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে তাদের৷ গরীব পরিবারের এই পড়ুয়াদের হাতে নেই স্মার্ট ফোন, নেই ইন্টারনেটের সুবিধা৷ ফলে অনলাইন পড়াশোনা কী, তা জানা নেই তাদের৷ এই সকল পড়ুয়াদের কথা ভেবেই এগিয়ে এসেছেন ছত্তিশগড়ের ছাত্রদরদী শিক্ষক রুদ্র রানা৷ এক অভিনব পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া শেখাচ্ছেন তিনি৷

আরও পড়ুন- Paytm ব্যবহার করেন? সাবধান, গুগলে ‘নিষিদ্ধ’ জনপ্রিয় এই অ্যাপ, সুরক্ষিত আছে টাকা?

ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার বাসিন্দা রুদ্র রানা পৌঁছে গিয়েছেন ছাত্রদের পাড়ায় পাড়ায়৷ তাঁর বাইকের পিছনে সওয়ারি হয়েছে একটি ব্ল্যাক বোর্ড৷ বাইক নিয়েই কখনও এই মহল্লা তো কখনও ওই মহল্লা, ছুটে বেরাচ্ছেন তিনি৷ শুরু করেছেন নিজের ‘মহল্লা’ ক্লাস৷  রুদ্র বলেন, ‘‘লকডাউনে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না৷ তাই তাদের দোরগোড়াতেই স্কুল নিয়ে উপস্থিত হয়েছি আমি৷ বহু পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ক্লাস করার জন্য মোবাইল নেই৷ তাদের জন্য খুব উপকার হয়েছে৷’’ 

আরও পড়ুন- কৃষি বিলের ক্ষতে প্রলেপ দিতে মাঠে নামলেন নমো, বার্তা টুইটারে

রাস্তার মাঝেই বসে তাঁর ক্লাসরুম৷ বাইকের সঙ্গে লাগানো থাকে ব্ল্যাক বোর্ড৷ আর বোর্ডের মাথায় থাকে একটি বড় ছাতা৷ রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই পড়া বুঝিয়ে চলেন রুদ্র৷ খুদে পড়ুয়ারাও উৎসাহের সঙ্গে যোগ দেয় মাস্টারমশাইয়ের ক্লাসে৷ সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনেই চলে তাদের ক্লাস৷ রুদ্রর এই প্রচেষ্টায় উচ্ছ্বসিত এলাকার মানুষজনও৷ তাঁদের কথায়, মাস্টারমশাইয়ের জন্যই এই প্যান্ডেমিকের মধ্যেও পড়াশোনা করতে পারছে আমাদের সন্তানরা৷ রুদ্রর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেটিজেনরাও৷ রুদ্র রানার মতো দরদী ও নিষ্ঠাবান শিক্ষকরা যে ছাত্রদের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি৷ নেটিজেনরা বলছেন, রুদ্রর মতো শিক্ষকরাই আমাদের সমাজের অনুপ্রেরণা৷ তাঁর এই উদ্যোগের জন্যই প্যান্ডেমিকের মধ্যে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া ছেলেমেয়ারাও পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে৷ তাঁকে কুর্নিশ৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =