নয়াদিল্লি: যক্ষ্মা প্রতিরোধে শিশুদের দেওয়া ভ্যাকসিন প্রবীণদের শরীরে তৈরি করছে অ্যান্টিবডি৷ সক্রিয় হচ্ছে তাঁদের মেমরি টি-কোষ৷ ফলে এই টিকা প্রবীণদের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ইমিউনিটি তৈরিতে সাহায্য করছে বলে জানাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সমীক্ষা৷
আরও পড়ুন- মার্চের মধ্যে শেষ হবে স্পুটনিক ভি-র তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল, পরিকল্পনা ড. রেড্ডিজের
আশা জাগাচ্ছে ব্যাসিলাস ক্যালমেট গেরিন (বিসিজি) ভ্যাকসিন৷ এটি মেমরি টি সেল সহ প্রবীণদের শরীরে সব ধরনের অ্যান্টিবডি বাড়িয়ে তুলছে৷ এই টিকা জন্মের পর সর্বজনীন টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে৷ কিন্তু করোনা মোকাবিলায় যক্ষ্মার টিকা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল৷ এই প্রশ্নের উত্তর পেতেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় বিসিজি’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল৷ ভারতে বিসিজি’র ট্রায়াল করছিল আইসিএমআর-এর অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন টিউবারকিউলোসিস (এনআইআরটি)৷ দেশের হটস্পটগুলিতে বয়স্ক ও প্রবীণ ব্যক্তিদের মর্বিডিটি এবং মৃত্যুহার হ্রাস করতে বিসিজি টিকা কার্যকারিতা কতখানি, তা মূল্যায়ন করা হয়৷ এই টিকা প্রয়োগের পর দেখা গিয়েছে অধিকাংশ ব্যক্তির শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে৷ বিশেষত ৬০ থেকে ৮০ বছরের ব্যক্তিদেরই উপরই এই সমীক্ষা চালানো হয়৷ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষা করা হয়৷
গবেষণার পর দেখা গিয়েছে, বিসিজি টিকা প্রয়োগের পর মেমরি টি এবং বি কোষ ভালো ভাবে সাড়া দিচ্ছে৷ ডিসি সাবসেটের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বৃদ্ধি পেয়েছে সমগ্র অ্যান্টিবডি স্তর৷ এই টিকা মাইকোব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দিয়ে থাকে৷ দেখা গিয়েছে, যে সকল শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া হয় তাদের মৃত্যুর হার যেমন কম তেমন শ্বাসকষ্টের সংক্রমণের ঘটনাও কম ঘটে৷
আরও পড়ুন- ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ফ্রান্স প্রেসিডেন্টকে কুরুচিকর আক্রমণ, প্রতিবাদ ভারতের
তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও দিল্লিতে বিসিজি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছিল আইসিএমআর৷ মোট ১৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়৷ আইসিএমআর জানিয়েছে, বয়স্ক ব্যক্তিদের ০.১ এমএল ডোজ বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়৷ নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিসিজি ডোজ দেওয়ার পর দেখা গিয়েছে তাঁদের ইমিউনিটি বেড়েছে৷ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই৷