নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত রয়েছে, তার সঙ্গে দুই মহামারী একসঙ্গে হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা। তাই এখন আরও বেশি করে টিকাকরণে জোর দিতে বলছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মাঝে খানিকটা স্বস্তি বেড়েছে দেশের কোভিড গ্রাফ নিয়ে। আজ চিন্তা আরও কিছুটা কমেছে। কারণ এদিন অনেকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ। মোট সংক্রমণ রয়েছে ৫০ হাজারের নিচেই।
আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৭৬ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজার ১৯৮ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯১ হাজার ৫১৬ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩২ লক্ষ ০৮ হাজার ৩৩০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৯৭ জন। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৩১৭ জন। এদিকে টিকাকরণের হার বেড়েছে এবং আপাতত মোট টিকা প্রাপ্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৩ কোটি। মোট সংখ্যা ৭৩ কোটি ০৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৮৮ জন।
আরও পড়ুন- মেয়েদের কাজ শুধু জন্ম দেওয়া! তালিবানি মুখপাত্রের মন্তব্যে হইহই
এদিকে আবার দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই ‘রিভিউ মিটিং’ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ দেশের মোট ভাইরাস আক্রান্তের সিংহভাগ কেরল এবং মহারাষ্ট্রের বলেই তথ্য মিলছে। দেশের মোট দৈনিক সংক্রমণের প্রায় ৮০ শতাংশই আসছে এই দুই রাজ্য থেকে। শুধু তাই নয়, এখনও দেশের ৩৫টি জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির দিকে আরও কড়া নজর দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আবার জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। সাতটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাওয়ে, বসনিয়া, এই সাতটি দেশের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।