নয়াদিল্লি: উৎসবের মরসুমে আগেই একসঙ্গে ছয় জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। এই ঘটনার পর গোটা দেশে ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে। একদিকে যেমন জঙ্গি ধরা পড়ার একটা স্বস্তি, অন্যদিকে আতঙ্ক বাড়ছে কারণ জানা গিয়েছে যে এখনো বেশ কয়েক জন জঙ্গি ‘নিখোঁজ’। তবে ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে যা জানা গেছে তা আরো বেশি উদ্বেগের। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে যে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ভারতে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসের ছক করেছিল এই জঙ্গিরা। আর এই হামলার নেপথ্যে ছিল পাকিস্তান এবং আইএসআই।
আরও পড়ুন- নারীঘটিত অপরাধে ‘নিরাপদতম’ কলকাতা, তথ্য দিল কেন্দ্র
গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের জেরা করে এর আগে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিল যে, ২৬/১১ মুম্বই হামলার ধাঁচে নাশকতার ছক করেছিল তারা। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে যে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি নষ্ট করে দেওয়ার জন্য মাল বোঝাই ট্রেন, কারখানা এবং একাধিক গুদামঘরকে নিশানা করেছিল কারা। মূলত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক ভিত্তি একেবারে নষ্ট করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আরো জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের পুরোপুরি মগজ ধোলাই করতে গোধরা কাণ্ডের ভিডিও দেখানো হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাদের রেললাইনে বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ এবং আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জেরায় গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা এই কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন- কমল অ্যাকটিভ কেস, বাড়ছে টিকাকরণ! সুস্থতা স্বস্তি দিচ্ছে দেশকে
জেরায় আরও জানা গিয়েছে, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ভাই দানিশ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগ ছিল এই জঙ্গিদের৷ তাদের টাকায় নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল৷ ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে পাকিস্তানে নাশকতার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল দুই জঙ্গি৷ প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাক লেফটেন্যান্ট৷ ১৪-১৫ জন বাংলাভাষী একইভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেও দাবি দিল্লি পুলিশের৷ যে কজন বাংলাভাষী এদের সঙ্গে ছিল তারা বাংলাদেশের বা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, গোপনসূত্রে তারা জানতে পেরেছিল পাক মদতে একটি জঙ্গি গোষ্ঠী ভারতে হামলার ছক কষছে৷ এর পরেই দিল্লি থেকে দুই এবং উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হয় আরও চার জঙ্গি৷