NCTE আইনে বাধ্যতামূলক B.Ed, ‘কালো আইনকে’ ধিক্কার D.El.Ed প্রার্থীদের!

NCTE আইনে বাধ্যতামূলক B.Ed, ‘কালো আইনকে’ ধিক্কার D.El.Ed প্রার্থীদের!

নয়াদিল্লি:  ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনসিটিই)-এর অধীনে এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সরকারি স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বেচেলর ইন এডুকেশন (বি.এড) বাধ্যতামূলক করল জম্মু এবং কাশ্মীর সমগ্র শিক্ষা৷ ৷ অন্যদিকে, বাংলায় এনসিটিসি আইনের বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়৷ 

আরও পড়ুন- একদিনেই হতে পারে বাকি তিন দফার নির্বাচন! জল্পনা তুঙ্গে

জম্মু এবং কাশ্মীর সমগ্র শিক্ষার ডিরেক্টর অরুণ মানস বলেন, জম্মু-কাশ্মীর সরকার ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভর্সিটি (ইগনু)-র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে৷ ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাধ্যতামূলক ভাবে বি.এড ডিগ্রি করতে হবে৷ তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ১৯ হাজার ৯৯৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিএড করেছেন৷ জুন মাসের মধ্যেই তাঁরা তাঁদের সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন৷ 

এদিকে এনসিটিই-২০১৮-র প্রাইমারি নিয়োগে বি.এড- প্রার্থীদের বসতে দেওয়াকে তুঘলকি কালা আইন বলে উল্লেখ করে প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন ডি.এল.এড প্রার্থীরা৷ এই আইনকে ধিক্কার জানিয়ে সরব হয়েছেন পূর্ণ প্রশিক্ষিত ডি.এল.এড-রা৷ তাঁদের দাবি, এই আইনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে ২০২০ সালের ১৬,৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অন্যায় ভাবে হাজার হাজার প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হয়েছে৷ তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘এই অস্বচ্ছ আইনের করাল গ্রাসের কাছে আত্মবলিদান দিতে হল ডি.এল.এড (টেট পাশ ২০১৪) প্রার্থীদের৷ এই সমস্ত ডি.এল.এড প্রার্থীদের রক্ত দিয়ে তৈরি করা হল ইতিহাস৷’’ 

আরও পড়ুন- বাহিনীর ওপর হামলার দৃশ্য নেই, হঠাৎ চলল গুলি! ‘শীতলকুচির’ ভিডিও ভাইরাল

ডি.এল.এড প্রার্থীদের বক্তব্য, ‘‘এই আইনের মধ্যে দিয়ে অর্ধ প্রশিক্ষিত বি.এড-দের সমমর্যাদা দেওয়া হল পূর্ণ প্রশিক্ষিত ডি.এল.এড-দের সঙ্গে৷ কারণ বি.এড-রা ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স করলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ডি.এল.এড-দের সমকক্ষ হতে পারে৷’’ তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্রাইমারিতে শুধুমাত্র ডি.এল.এড-দেরই যোগ্য হিসাবে বিবেচনা করতে হবে৷ পাশাপাশি এনসিটিই-২০১৮ আইনের মাধ্যমে যে বি.এড-কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, অবিলম্বে সেই আইন সংশোধন করতে হবে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =