করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত দিল্লি! ভিন রাজ্যের যাত্রীদের জন্য আজ থেকে জারি হচ্ছে নয়া নিয়ম

আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত নয়া নিয়ম জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে

20b7bbe6ebb49df5db9fbfe986c5b957

নয়াদিল্লি: অভিশপ্ত ২০২০ কাটিয়ে একুশে পা দেওয়ার পর সকলেই ফেলেছিলেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। ভ্যাকসিনের আবিষ্কারের ফলে কেটেও গিয়েছিল করোনা আতঙ্ক। কিন্তু নতুন বছরের দু’মাস কাটতে না কাটতেই ফের দেশ জুড়ে শক্তি বাড়িয়েছে করোনা। সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় অতিমারীর আতঙ্ক ফের জাঁকিয়ে বসছে মানুষের মনে। 

আরও পড়ুন- ‘এটা মৌলিক অধিকার নয়’ সম লিঙ্গের বিয়েতে আপত্তি কেন্দ্রের

বিভিন্ন রাজ্যে করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় এবার আর ঝুঁকি নিতে রাজি নয় দিল্লি সরকার। তাই এবার থেকে রাজ্যে ঢোকার আগে সমস্ত ভিন রাজ্যের যাত্রীর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট যাচাই করে দেখা হবে, এমনটাই ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার। জানা গেছে আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই এই নিয়ম লাগু হতে চলেছে। তবে ভিন রাজ্যের যাত্রীদের জন্য দিল্লি সরকারের এই নির্দেশ সমস্ত রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। সূত্রের খবর, করোনার প্রকোপ বেড়েছে এমন ৫ রাজ্যের জন্যেই দেখা হবে নেগেটিভ রিপোর্ট। 

কোন কোন রাজ্য থেকে রাজধানীতে যেতে হলে সঙ্গে রাখতে হবে করোনার নেতিবাচক রিপোর্ট? দিল্লি সরকার জানিয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরালা, ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব- এই ৫ রাজ্য থেকে বিমান, বাস কিংবা ট্রেন যেভাবেই যাত্রীরা আসুন না কেন, দিল্লিতে ঢোকার আগে যাচাই করে দেখা হবে তাঁদের রিপোর্ট। যদি নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে পারেন তবেই দিল্লি প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত এই নিয়ম চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। 

আরও পড়ুন- আজ দেশ জুড়ে ধর্মঘট! ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিবাদকে সমর্থন জানালেন কৃষকরাও

এছাড়া, পুরোনো করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখালে সে রিপোর্ট গ্রাহ্য হবে না বলেই জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পরিচালিত দিল্লির আপ সরকার। ৭২ ঘন্টার মধ্যে যে সমস্ত পরীক্ষা করানো হয়েছে শুধু তাই গ্রাহ্য হবে। বস্তুত গত কয়েকদিনে দেশে করোনা সংক্রমণের হার যে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এই ৫ রাজ্য থেকেই এসেছে তার ৮৬% সংবাদ। বিশেষত মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ চিন্তার ভাঁজ ফেলছে সরকারের কপালে। এই পরিস্থিতিতেই গত বছর করোনায় বিশেষ কাবু হওয়া দিল্লি আর কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *