নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদেই আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে পরিবহন ও বাণিজ্যিক সংগঠন। অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স কনফেডারেশনের তরফে আহ্বান করা এই বন্ধকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে রাজধানীতে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি। ফলে দেশ জুড়ে ধর্মঘটের বাতাবরণ যে তৈরি হবে, তা আন্দাজ করা যাচ্ছে সহজেই।
আরও পড়ুন- ‘এটা মৌলিক অধিকার নয়’ সম লিঙ্গের বিয়েতে আপত্তি কেন্দ্রের
গত কয়েকমাস ধরেই ক্রমশ বেড়ে চলেছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। এর প্রভাব যে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যেও পড়বে তা অনুমান করা যায় সহজেই। তাই অবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে হ্রাস টানার দাবি নিয়ে ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে কৃষক, বণিক ও পরিবহন সংস্থা গুলি। তবে শুধু জ্বালানি তেলের জন্যেই নয়, আজকের ধর্মঘটে রয়েছে নতুন ই-ওয়ে বিল এবং জিএসটি’র (Goods and Services tax) বিরুদ্ধে প্রতিবাদও। বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে বহু কৃষক সংগঠন এবং প্রায় ৪০০০০ বণিক সংগঠন।
এই ধর্মঘটের ঘোষণা করার সময় অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স কনফেডারেশনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, দেশ জুড়ে জিএসটির এমন দুর্ভাগ্যজনক চিত্রে হতাশ ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা ভারত বাণিজ্য ধর্মঘট আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে। শুক্রবার এই ধর্মঘটের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ থাকবে বাজার। এছাড়া দেশ জুড়ে প্রায় ৮ কোটির বেশি ব্যবসায়ী বন্ধে সামিল হবেন বলেও জানা গেছে সূত্রের খবরে। কেন্দ্রের কাছে জিএসটির নিয়মাবলী পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ট্রেড ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন- মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি! মুম্বইতে চাঞ্চল্য
উল্লেখ্য, পেট্রোল ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গতকালই এই বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। জ্বালানির পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত স্কুটিতে চড়ে নবান্নে গিয়েছিলেন তিনি।