অবশেষে WHO-র অনুমোদন পেতে পারে কোভ্যাক্সিন!

অবশেষে WHO-র অনুমোদন পেতে পারে কোভ্যাক্সিন!

5a24ef6d655ea4b21b6de2f83088789e

নয়াদিল্লি: ভারতের তৈরি দুটি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের মধ্যে সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ‘কোভিশিল্ড’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলেও ভারতের বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এখনও পর্যন্ত পায়নি। সেই নিয়ে জটিলতা বহাল রয়েছে। অনুমোদন না পাওয়ার জন্য এই ভ্যাকসিন যারা নিয়েছিলেন তাদের বিদেশ যাত্রায় সমস্যা হচ্ছিল, যা নিয়ে ছিল আলাদা চিন্তা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছিলেন। তবে এখন হয়ত এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই ‘হু’র অনুমোদন পেতে চলেছে ‘কোভ্যাক্সিন’। এটি হলে বিদেশে এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করা যাবে, আবার টিকাপ্রাপ্তদের বিদেশ যাত্রাতেও সুবিধা হবে। 

আরও পড়ুন- উত্তাল দিঘা, নিষেধ অমান্য করেই সমুদ্রে নামলেন পর্যটকরা

কী কী ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র পাওয়া যাবে তার একটি তালিকা বানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই তালিকার মধ্যে ছিল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড, মডার্না, ফাইজার, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, জনসন এন্ড জনসন এবং সিনোফার্ম ভ্যাকসিন। কিন্তু এই ভ্যাকসিনের অনূমোদন ছিল না তাই এই তালিকায় কোভ্যাক্সিন রাখা হয়নি। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগেই এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, ৭৭ শতাংশ কার্যকর ভারতের তৈরি এই ভ্যাকসিন। করোনা ভাইরাসের ‘ডেল্টা’ প্রজাতির বিরুদ্ধে এই কোভ্যাক্সিন টিকা ৬৫.২ শতাংশ কার্যকরী। অন্যদিকে উপসর্গহীন কোভিডের ক্ষেত্রে এই টিকা কার্যকরী ৬৩.৬ শতাংশ। এর পাশাপাশি আরও দাবি করা হয়েছে, এই টিকা ব্যবহারের পর সাধারণ মানুষের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হার ১২ শতাংশ এবং ০.৫ শতাংশ বা তারও কম ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই রিপোর্টে অবশেষে সন্তুষ্ট হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আরও পড়ুন- ফের বিজেপিতে ধস! গোসাবা কেন্দ্রের প্রার্থী এবার তৃণমূলে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত বায়োটেক। তবে অনুমোদন পাওয়ার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয় এবং একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। একই সঙ্গে সম্পূর্ণ ট্রায়ালের তথ্য পেশ করতে হয় সংস্থাগুলিকে। সেইমত কাজ শুরু করে দিয়েছিল ভারত বায়োটেক। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *