কলকাতা: চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস টিকাকরণ কর্মসূচি এবং এখনো পর্যন্ত প্রায় ৮০ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। সম্প্রতি টিকাকরণের নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশ। কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে আজকের করোনাভাইরাস টিকা কতদিন সুরক্ষা দেবে। কারণ সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমতে শুরু করেছে চার থেকে ছয় মাস পরেই। অর্থাৎ করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার সর্বাধিক ৬ মাস থাকছে অ্যান্টিবডি।
আরও পড়ুন- ফের বিজেপিতে ধস! গোসাবা কেন্দ্রের প্রার্থী এবার তৃণমূলে
ভূবনেশ্বরে আইসিএমআরের যে মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে ৬১৪ জন সম্পূ্র্ণ টিকাপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর একটি পরীক্ষামূলক গবেষণা চালানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩০৮ জনকে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ এবং ৩০৬ জনকে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়। কিন্তু গবেষণার পর দেখা যায় যে, চার মাস পর থেকেই তাদের দেহে করোনার অ্যান্টিবডির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা কোভ্যাক্সিন নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে দ্রুত (ন্যূনতম ৪ মাস) অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমছে। অন্যদিকে, কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজের ৬ মাস পর থেকে দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমতে থাকছে! অর্থাৎ ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই দেহে ধীরে ধীরে করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমছে তা সে যেই ভ্যাকসিনই নেওয়া হোক না কেন।
আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা
যদিও গবেষকরা জানাচ্ছেন, দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমলেই যে করোনা সংক্রমণ থেকে কেউ আর সুরক্ষিত নন বা টিকার কার্যকারিতা নেই, এই ধারণা ভুল। কারণ দেহের ‘টি’ ও ‘বি’ সেল করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেই জানান হয়েছে। তবে এইভাবে অ্যান্টিবডি শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে একটা আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বটে। আপাতত মোট টিকা প্রাপ্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮০ কোটি। মোট সংখ্যা ৮০ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৩১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ হয়েছে ৮৫ লক্ষের বেশি।