কলকাতা: প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ দান করবে সিভিক ভলেন্টিয়ার! বাঁকুড়া জেলায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই খবর বাইরে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে এর অনুমোদন রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে মেলেনি। কিন্তু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েই আছে। আর এই নিয়েই এবার সরব হল একাধিক সংগঠন। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ দাবি তুলেছে যাতে সকলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। এদিকে অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি বড় দাবি করে বলেছে, উত্তরবঙ্গের একাধিক স্কুলে এইভাবেই নাকি পঠন-পাঠনের কাজ চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম করতে ফের পিছল শুনানি, ডিএ নিয়ে জটিলতা বাড়ছেই
বাঁকুড়া জেলার বিষয়টি এদিন জানাজানি হওয়ার পর আপাতত সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়েছে। সরকারের তরফে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাঁকুড়া পুলিশের এই সিদ্ধান্তে শিক্ষা দফতরের কোনও অনুমোদন ছিল না৷ তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়৷ কিন্তু অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র দাবি করে বলেছেন, আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে সকালের দিকে স্থানীয় থানার তত্ত্বাবধানে ‘অঙ্কুর’ -প্রকল্পের নামে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে!
আরও পড়ুন- মাথা পিছু পাঁচ লক্ষ অগ্রিম! এর পর মানিকের কাছে চাকরির জন্য সুপারিশ পাঠাতেন শান্তনু
তাঁর দাবি, সকালের শিফটে স্কুল করার পর সারাদিন শাসক দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হয়। এই প্রেক্ষিতে সংগঠনের দাবি, লক্ষ লক্ষ পদ শূন্য পদে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ না করে সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে পড়ানোর কাজ চালানোর মধ্যে দিয়ে রাজ্যের শিক্ষাকে ধ্বংস করার প্রয়াসে লিপ্ত হচ্ছে রাজ্য সরকার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”প্রাথমিকে পাঠ দেবেন সিভিকরা! Bankura Police announce civic volunteers to become teachers” width=”853″>
অন্যদিকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের শিক্ষকতার কাজে নিয়োজিত করার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সকলে আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তাঁদের দাবি, এইভাবে আসলে শিক্ষার গরিমাকে ধুলায় মিশিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে রাজ্যে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা যাদের কাজ তাদেরকে শিক্ষাদানের কাজে নিয়োজিত করা হচ্ছে। শিক্ষাদানের কাজ শিক্ষকদের। তাঁদেরকে কি তাহলে এবার ঘোড়ার ঘাস কাটতে দেওয়া হবে? প্রশ্ন তাঁর।
আরও পড়ুন- জট কাটল না পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার, এখনও অপেক্ষা জারি
পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, বহু শূন্যপদে শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না। বর্তমান সরকার ঘুষের টাকায় অযোগ্যদের নিয়োগ করার খেলায় শিক্ষকতা পেশার মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। আরও দাবি, কয়েক বছরের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থার অবশিষ্ট যেটুকু ছিল সেটাকে অতি দ্রুত জ্বলাঞ্জলি এবং বেসরকারীকরণ করার আসল উদ্দেশ্যটা হাসিল করে নিতে চাইছে সরকার।