কলকাতা: আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে অপসারিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)৷ বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে থাকার সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে অর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল৷ যার জেরে ২০১৬ সালে উপাচার্য পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে৷ ২০১৮ সালে এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই৷ প্রাথমিক তদন্তে সুশান্ত দত্তগুপ্তের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷
আরও পড়ুন- জলযন্ত্রণা রুখতে মাটি থেকে গোটা বাড়ি উপরে তুললেন প্রধান! চলছে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ!
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, উপাচার্য পদে বহাল থাকার সময় বিপুল পরিমাণ অর্থ নয়ছয় করেছিলেন কৃতি বিজ্ঞানী তথা বিশ্বভারতীয় প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত৷ এফআইআর-এ বলা হয়েছে, অত্যাধিক চড়া দামে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি কিনেছিলেন তিনি৷ এছাড়াও বিশ্বভারতীর হয়ে মামলা লড়ার জন্য করে একটি বেসরকারি আইনি সংস্থাকেও নিয়োগ করেছিলেন। সরকারি আইনজীবীদের থেকে সেই সংস্থাকে অনেক বেশি ফি পাইয়ে দেন প্রাক্তন উপাচার্য। এছাড়াও নিজের পদের অপব্যবহার করে একাধিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অভিযোগও রয়েছে সুশান্তের বিরুদ্ধে৷ ব্যক্তিগত মদের বিলও তিনি বিশ্বভারতীর তহবিল থেকে আদায় করতেন বলে অভিযোগ৷
আরও পড়ুন- গরু পাচার চক্র ভাঙতে তল্লাশি, সিবিআই-এর জালে বিএসএফ কর্তা ও তাঁর ছেলে
এখানেই তাঁর কীর্তির শেষ নয়৷ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন৷ ফলে বিশ্বভারতী থেকে বেতন নেওয়ার পাশাপাশি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেনশনও নিতেন৷ এমনকী এই পেনশন পাওয়ার কথা বিশ্বভারতীর কাছে গোপন করে যান সুশান্ত৷ নিয়ম অনুযায়ী, বেতন থেকে পেনশনের টাকা কেটে নেওয়ার কথা ছিল বিশ্বভারতীর৷ কিন্তু তিনি সে কথা লুকিয়ে যাওয়ায় ১৩ লক্ষ টাকা বাড়তি লাভ হয় তাঁর৷ সুশান্তের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০বি), বিশ্বাসভঙ্গ (৪০৬), সরকারি কর্মচারি হিসাবে বিশ্বাসভঙ্গ (৪০৯) এবং অপরাধীসুলভ অসৎ আচরণ (১৩/২)-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে সিবিআই৷