‘দু’পয়সার সাংবাদিক’ মন্তব্যে অটল মহুয়া! ড্যামেজ কন্ট্রোলে সুব্রত

‘দু’পয়সার সাংবাদিক’ মন্তব্যে অটল মহুয়া! ড্যামেজ কন্ট্রোলে সুব্রত

6a8df630f071cae21e7fbc08b0dc7b75

কলকাতা: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড়৷ সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সযত্নে নিজের একটি ‘ব্র্যান্ড’ তৈরি করেছিলেন মহুয়া মিত্র, সেখানেই সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হচ্ছেন তিনি৷ 

প্রসঙ্গ, রবিবার নদীয়ার গয়েশপুরে দলীয় কর্মীসভায় গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ সেখানেই সংবাদমাধ্যমকে ‘দু’পয়সার প্রেস’ বলে সম্বোধন করেন তিনি৷ এর পর থেকেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মহুয়া৷ এর পর ক্ষমা চাইলেও, অদ্ভূতভাবে নিজের অবস্থান থেকে সরলেন না তিনি৷ রবিবার সন্ধ্যায় টুইট করে তিনি লেখেন, ‘‘আই অ্যাপোলোজাইজ ফর দ্য মিন হার্টফুল অ্যাকিউরেট থিংস আই সেড৷’’ যার অর্থ, ‘‘নিম্নমানের বেদনাদায়ক সঠিক কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী৷’’ যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত৷ 

আরও পড়ুন- কৃষকদের সমর্থনে জায়গায় জায়গায় বনধ পালন পশ্চিমবঙ্গে

এর আগেও একাধিকবার শব্দের অপপ্রয়োগ করতে দেখা গিয়েছে মহুয়াকে৷ শব্দ বানে বিদ্ধ করাটা নতুন নয়৷ কিন্তু এবার সংবাদিকদের দিকে বন্দুক দাগলেন তৃণমূল নেত্রী৷ তাঁর এই মন্তব্যের পরই কটাক্ষ ধেয়ে আসে সাংবাদিকদের তরফে৷ কলকাতা প্রেস ক্লাবের তরফে তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয়৷ বাংলায় লেখা একটি বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকদের উদ্দেশে কৃষ্ণনগরের সাংসদের এই মন্তব্য ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’৷ এর ‘তীব্র নিন্দা’ জানাচ্ছি৷ ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘তাঁর মন্তব্য নিঃসন্দেহে অপমানজনক ও অনভিপ্রেত৷ গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় সাংবাদিকতার গুরুত্ব ও সম্মান অবিসংবাদিত৷ যে কোনও পরিস্থিতিতে একজন সাংবাদিকের সংগ্রাম এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত৷ তাঁর এই মন্তব্যকে ধিক্কার জানাই৷’’ 

অন্যদিকে মহুয়া মৈত্র জানান, রবিবার গয়েশপুরের সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না৷ ওই সভায় স্থানীয় সভাপতির বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীরা তাঁদের অভিযোগ জানাচ্ছিলেন৷ তাঁদের সমস্যা শোনার মাঝেই একদল কর্মী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ডেকে আনেন৷’’ তিনি আরও জানান, সাংবাদিকরা আমার কথা মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন৷ সেই সময়েই দলীয় কর্মীদের উপর রেগে গিয়ে বলি কেন ‘দু’পয়সার সাংবাদিকদের’ ডাকা হল? তাঁদের ডাকার পিছনে কী স্বার্থ রয়েছে? দলীয় কর্মীদের উদ্দেশেই এই কথা৷ সংবাদমাধ্যমকে কোনও কথা বলিনি৷’’ তাঁর এই মন্তব্যের নির্দিষ্ট কোনও সংবাদিকে নয়৷ অপমানিত গোটা সাংবাদিক মহল৷ আক্রান্ত গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ৷ মহুয়া মৈত্রকে বয়কট করেছে ২৪ ঘণ্টা৷ তাদের এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানায় আজবিকেল ডট কম৷ 

আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত আশাকর্মী, কাজে হাজিরা না থাকায় কাটা গেল ‘যৎসামান্য’ বেতন!

মহুয়া মৈত্রের এই মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন সুব্রত বক্সি৷ তিনি বলেন, মহুয়া কী বলেছে তা সঠিক ভাবে জানা নেই৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ‘প্রেস রিলেশনশিপে’ বিশ্বাস করেন৷ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে হৃদ্যতা রেখেই চলে দল৷ মহুয়ার এহেন মন্তব্য করে থাকলে তা দুঃখের৷ তবে তিনি নিজে মহুার মন্তব্য যাচাই করে দেখেননি বলেই জানান সুব্রতবাবু৷

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *