কলকাতা: কৃষি বিলের বিরোধিতায় ও কৃষকদের সমর্থনে সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে বনধ। কৃষকদের সমর্থন করছে একাধিক রাজনৈতিক দল। গোটা দেশে বিক্ষিপ্তভাবে পালিত হচ্ছে বনধ। পশ্চিমবঙ্গে অবস্থাও তথৈবচ। এখানেও জায়গায় জায়গায় বনধ পালন করা হচ্ছে।
কৃষি বিল প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশজুড়ে কৃষকদের মধ্যে বাড়ছে বিক্ষোভ। কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান না বেরনোয় মাস খানেক আগে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা দিল্লির অভিমুখে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবেন। বর্তমানে রাজধানী সহ দিল্লি-পঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানাতেও অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। যাতে এই সমস্যার কোনও রফাসূত্র বের হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনের পাঁচ দফায় বৈঠক হয়ে গিয়েছে। বুধবার আরও একটি বৈঠক রয়েছেন। তবে তার আগে সরকারকে চাপে রাখতে বনধের সিদ্ধান্ত নেয় কৃষক সংগঠনগুলি।
বিজেপি ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি এই বনধকে সমর্থন করেছে। যদিও তা কতটা আদর্শগতভাবে সমর্থন আর কতটা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে এই বনধকে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একাধিক জায়গায় বনধ হয়েছে। শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড ছিল একেবারে ফাঁকা। এখানে জায়গায় জায়গায় ছেলেদের ক্রিকেট খেলতে দেখা গিয়েছে। হুগলি জেলার অনেক জায়গায় রেল অবরোধ হয়েছে।
এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় রেল ও সড়কপথ অবরোধ করা হয়। মধ্যমগ্রাম স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বামফ্রন্টের কর্মীদের। ফলে বহুক্ষণ আপ ও ডাউন ট্রেন আটকে ছিল। অবরোধের ফলে শিয়ালদা-বনগাঁ ও শিয়ালদা-হাসনাবাদ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে বলে খবর। বামফ্রন্ট কর্মীরা মধ্যমগ্রামের দোলতলা মোড়, চৌমাথা মোড় ও যশোর রোডও অবরোধ করেন। তবে সেই বনধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এদিন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করছে বনধ করেন সমর্থকরা। রাজ্যে বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। রাজ্যের বাঁকুড়ায় গোবিন্দ নগর বাস স্ট্যান্ডে শ্রমিকরা কৃষক আন্দোলনে শামিল হন। বাস চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল।